তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল- পিএনপি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে গুম-খুন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে মানববন্ধন, ২৮ জানুয়ারি দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার বিচারের দাবিতে সমাবেশ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি পিএনপির ২১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা সফর করা।
সভাপতির বক্তব্যে পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন বলেন, দুর্নীতি দুঃশাসন ও স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে আওয়ামী সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপি, গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। জনগণের ভোটাধিকার জান-মালের নিরাপত্তা দুর্নীতিবাজ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সিন্ডিকেট দমনসহ ফ্যাসিবাদের অপকমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্রজনতা দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি ও সকল নাগরিকের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার। পিএনপি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু তা বিলম্বিত হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে বসে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যা জনমণে শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট জাতীয় জীবনে কলঙ্কময় মাস হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে। পিএনপিকে সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জনগণের পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জেলা থানা ইউনিয়নকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য দেন- দলের মহাসচিব আহমদুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সালাম উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব টিএম কামরুল হাসান হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খোকন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক হাজী মো. নুরনবী মহিলাবিষয়ক সম্পাদিক নাসিম আক্তার, সহপ্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেন প্রমুখ।