৩১ দফা বাস্তবায়নে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে : লায়ন ফারুক
১২দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি। এই ৩১ দফা হচ্ছে এ দেশের মানুষের মুক্তির সনদ। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়িত হবে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পতিত ফ্যাসিবাদের বিগত ১৫ বছরের সকল অপকর্ম ও দুর্নীতির বিচার দাবি এবং আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
লায়ন ফারুক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসিত হতে না পারে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। এ সময় পতিত ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
১২ দলীয় জোটের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা এই শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এটাই দেশবাসীর চাওয়া।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উৎখাতে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছি, বর্তমানেও একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে হাসিনা আমলের কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিংয়ের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের কোনোভাবেই পুনর্বাসন করা যাবে না। যে বা যারাই এমন কাজ করবে, জণগণ তাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পটভূমি রচনা করা হয় ২০২৩ সালে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠনের মধ্যদিয়ে। বিরোধী সকল ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একমুখী আন্দোলনের ফলে সরকার পতন হয়েছে। জুলাই-আগস্টে নিহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও আহতদের পুনর্বাসনের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় এতে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. শামসুল আলম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, পিপলস পাওয়ার পার্টির সভাপতি ফখরুল ইসলাম রানা, দেশ বাচাঁও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম এর সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন, বেকার মুক্তি আন্দোলন এর সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস মৃধা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জবের মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ছাত্রনেতা ইয়াসিন আরাফাত, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব, বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত বক্তব্য রাখেন। এতে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা মো. সোয়েব প্রমুখ।