বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি মরদেহের কোনোটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। যদিও ভিন্ন ভিন্ন সময় ও স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, পুলিশ মনে করছে চারজনকেই হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। পাশাপাশি আশপাশের থানাগুলোতে কোনো নিখোঁজের অভিযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নৌ পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেরাণীগঞ্জের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে হাত-বাঁধা অবস্থায় এক নারী ও এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, নারীর বয়স প্রায় ২৮ বছর এবং পুরুষের বয়স প্রায় ৩৫ বছর।
তিনি বলেন, এর আগে দুপুরে সদরঘাটের মীরেরবাগ এলাকা থেকে আরও এক শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চারটি মরদেহই ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পানিতে ভাসমান ছিল।
স্থানীয়রা জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুটির বয়স আনুমানিক চার থেকে পাঁচ বছর এবং নারীর বয়স প্রায় ত্রিশ বছর। দু’জনের গলায়ই কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, তারা কাউকেই চিনতে পারেননি।
নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাসান ইনাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই আমরা ডিএনএ পরীক্ষা করব। পুলিশের ধারণা, শিশুসহ চারজনকেই অন্য কোনো স্থানে হত্যার পর বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।