৪ টুর্নামেন্টে এক সেকেন্ডও খেলতে পারেননি স্টেগান

3 months ago 34

ফুটবলে অভাগাদের তালিকা অনেক বড় হয়। কেউ সহজ সুযোগ মিস করে; আবার কেউ পেনাল্টি মিস করে এই তালিকায় নাম লেখান। যাদের ভাগ্যে শিকে ছিড়েনি, সেসব ফুটবলারদের তালিকায় নতুন এক নাম মার্ক আন্দ্রে-টের স্টেগান।

জার্মানির গোলরক্ষক স্টেগানের হতাশার গল্পটা অন্য ভিন্ন রকমের। অন্যান্য ফুটবলাররা তো মাঠে নেমে হতাশা নিমগ্ন হয়ে পড়েন। কিন্তু মার্ক টের স্টেগান মাঠে না নেমেই অভাগাদের তালিকায় সবার উপরে চলে এসেছেন।

টের স্টেগানকে ধরা হতো ম্যানুয়েল নুয়্যের পরবর্তী জার্মান গোলবারের অতন্দ্রপ্রহরী। কিন্তু এই প্রহরী ৪টি টুর্নামেন্টে দলের স্কোয়াডে থাকলেও একটি ম্যাচেও নামার সুযোগ পাননি। ২০১৬ ইউরোই ছিল স্টেগানের প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্ট। সেবার জার্মানি ৬টি ম্যাচ খেলে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। কিন্তু স্টেগান কোনো ম্যাচে নামার সুযোগ পাননি।

২০১৮ বিশ্বকাপ তো জার্মানির জন্য বিভীষিকাময়। গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। ওই আসরে ৩ ম্যাচের একটিতেও নামার সুযোগ হয়নি স্টেগানের। বেঞ্চেই বসে থাকতে হয়েছিল তাকে।

এরপর ২০২০ ইউরোতে ইনজুরির দরুণ সুযোগ পাননি। ২০২২ বিশ্বকাপেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ২০১৮ সালের মতো এই আসরেও গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় জার্মানরা। সর্বশেষ বিশ্বকাপে জার্মানরা ৩ ম্যাচ খেললেও বেঞ্চেই সময় কাটান স্টেগান।

২০২৪ ইউরোতে স্বাগতিক দেশ হিসেবে জার্মানি গ্রুপ পর্বে দারুণ খেলেছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে শেষ সময়ের গোলে হেরে বিদায় নেয় তারা। এবারও স্টেগান বেঞ্চে বসে থাকেন।

কোনো টুর্নামেন্টে না খেললেও জার্মানির হয়ে ৪০টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন স্টেগান। বর্তমান বার্সেলোনার গোলবারের নিচের এই তারকার বয়স ৩২। ম্যানুয়েল নুয়্যের অবসর না নিলে হয়তো কেনো টুর্নামেন্টে মাঠে না নেমেই বিদায় জানাতে নিতে হবে স্টেগানকে।

আরআর/এমএইচ/এমএস

Read Entire Article