৪৪তম বিসিএসের প্রকাশিত ফলে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের সুপারিশ বাতিল করে অধিযাচিত পদগুলোতে উত্তীর্ণ অন্য প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুসরণ করেপুনরায় ফল প্রকাশ চেয়ে করা আবেদনটি আইন অনুসারে যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম সজীব। পিএসসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম জানান, পুনরায় ফল প্রকাশ চেয়ে করা আবেদনটি নিষ্পত্তিতে সরকারি কর্ম কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে আবেদনকারীদের বিধি অনুসারে উপযুক্ত ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পিএসসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল গত ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সাময়িকভাবে মনোনীত করে।
প্রকাশিত ফলাফলে একই কিংবা পছন্দের তালিকায় নিম্নতম পদে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্তদের সুপারিশ বাতিল করে অধিযাচিত পদগুলোতে উত্তীর্ণ অন্য প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুসারে পুনরায় ফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান বরাবর গত ১৪ জুলাই আবেদন করেন মনোনয়নবঞ্চিত আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন।
মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিদের করা ওই আবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হলেও মৌখিক পরীক্ষার আগে পছন্দের পদ পূরণের সুযোগ না থাকায় পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষাগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ৮০০ প্রার্থী ৪৪তম বিসিএসে সমপদে কিংবা পছন্দের তালিকার নিম্নতম পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের কারোরই সুপারিশপ্রাপ্ত পদে যোগদানের সম্ভাবনা নেই।
ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন গত মাসে হাইকোর্টে ওই রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
এফএইচ/এমকেআর