৬১ লাখের গরু ১৪ লাখে বিক্রির অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ৬১ লাখ টাকার গরু ১৪ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নাহিদ গাজী নামে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আনা ২২টি গরু আটক করে রৌমারী কাস্টমস অফিসে জমা দেয় বিজিবি। সেসময় বিজিবি নির্ধারিত এসব গরুর সিজার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে গরুগুলো প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট গোপনে মাত্র ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকায় গরুগুলো কিনে নেয়। এ ঘটনায় মূল্য নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাস্টমস দপ্তর প্রথমে ১৮টি গরুর মূল্য ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও পরদিন রহস্যজনকভাবে ২২টি গরুর মূল্য কমিয়ে ২২ লাখ টাকা করা হয়। প্রকাশিত দরপত্র অনুযায়ী নিলামে অংশ নেন মোট ৪৫ জন। কিন্তু সিন্ডিকেটের সদস্যরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহায়তায় উচ্চ দরদাতাদের নিলাম থেকে বিরত রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। নিলাম অংশগ্রহণকারী ওমর ফারুক ইসা বলেন, আমি ২ ডিসেম্বর ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়ে নিলামে অংশ

৬১ লাখের গরু ১৪ লাখে বিক্রির অভিযোগ কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ৬১ লাখ টাকার গরু ১৪ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নাহিদ গাজী নামে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আনা ২২টি গরু আটক করে রৌমারী কাস্টমস অফিসে জমা দেয় বিজিবি। সেসময় বিজিবি নির্ধারিত এসব গরুর সিজার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে গরুগুলো প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট গোপনে মাত্র ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকায় গরুগুলো কিনে নেয়।

এ ঘটনায় মূল্য নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাস্টমস দপ্তর প্রথমে ১৮টি গরুর মূল্য ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও পরদিন রহস্যজনকভাবে ২২টি গরুর মূল্য কমিয়ে ২২ লাখ টাকা করা হয়। প্রকাশিত দরপত্র অনুযায়ী নিলামে অংশ নেন মোট ৪৫ জন। কিন্তু সিন্ডিকেটের সদস্যরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহায়তায় উচ্চ দরদাতাদের নিলাম থেকে বিরত রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

নিলাম অংশগ্রহণকারী ওমর ফারুক ইসা বলেন, আমি ২ ডিসেম্বর ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়ে নিলামে অংশ নিই। এরপর সিন্ডিকেটের লোকজন আমাকে আর ডাকতে দেয়নি। নিয়ম না মেনে অন্যদের বাধা দিয়ে তারা খুব কম দামে গরু নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে নামমাত্র মূল্য নির্ধারণ করে গরু তুলে নিচ্ছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

জামালপুর-৩৫ বিজিবির সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোনায়েম বলেন, সীমান্তে কোনো অবৈধ মালামাল এলে সেগুলো আটক করে আমরা একটা আনুমানিক বাজার মূল্য নির্ধারণ করে কাস্টমসের কাছে জমা দিই। এজন্য নিলামের সময় একটু দামের কমবেশি হতে পারে। তবে এত কম হওয়ার কথা নয়।

অভিযোগের বিষয়ে শুল্ক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেলের কর্মকর্তা নাহিদ গাজী বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে নিলাম পরিচালনা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট আছে কিনা তা আমার জানা নেই। গরুকে পচনশীল পণ্য হিসেবে ধরা হয়। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার মূল্যেই বিক্রি করা হয়েছে।

রৌমারী শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা আল-শাহরিয়ার বলেন, নিলাম সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পেলে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করি। তবে সিন্ডিকেট নিয়ে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেননি।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন বলেন, শুল্ক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আমার নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তবে কাস্টমস কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক সভায় উপস্থাপন করবো।

রোকনুজ্জামান মানু/এমএন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow