৭ কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি সালাম গ্রেফতার

3 hours ago 3

যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনগত গভীর রাতে যশোর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় চার বছর ধরে পলাতক ছিলেন তিনি।

গ্রেফতার আব্দুস সালাম যশোর উপশহর ই-ব্লকের আব্দুস সামাদের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আব্দুস সালাম যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত গভীর রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের অক্টোবরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ৯টি চেক ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। পরবর্তী সময়ে তদন্তের পরিধি বাড়ালে মোট ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে পৌনে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনার পর শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন। সেখানে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্তকৃত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডিসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।

তবে চার্জশিটে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সবাই তখন থেকে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিজ বাড়িতে ফেরার সময় গ্রেফতার হন মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম।

মিলন রহমান/এসআর

Read Entire Article