৭ ঘণ্টা পর বনানী সড়কে যান চলাচল শুরু
প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর বনানী সড়ক ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। নারী পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহকর্মীরা। এতে বনানী, মহাখালী, গুলশান ও তার আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এর প্রভাব পড়ে রাজধানীর অন্য এলাকাতেও।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কের উভয়পাশ অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা।
এই যানজটের প্রভাব খিলগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মিরপুর, মগবাজারেও পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থী, অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ। হেঁটেই কর্মস্থল আর গন্তব্যের দিকে রওনা হন অনেকেই।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ওঅ্যান্ডএম কোম্পানির ট্র্যাফিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান হাসিব হাসান খান জানান, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ির কাছে পোশাক শ্রমিকরা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে অপারেশন বন্ধ করেন।
আজ সকাল ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে নিহতের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তবে অবরোধের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরোয়ার বলেন, পিকআপটিকে ইতোমধ্যেই তেজগাঁও থানা-পুলিশ আটক করেছে এবং চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, সকাল ছয়টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় ২ পোশাক শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সহকর্মীরা। নিহত একজনের নাম মিনারা আক্তার অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।