ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের ভোটদানের সময় নিয়ে এক নতুন চ্যালেঞ্জের চিত্র উঠে এসেছে। হিসাব অনুযায়ী, একজন ভোটারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি ভোট দিতে হবে মাত্র ১১ সেকেন্ডে, যা অনেকের কাছেই অস্বাভাবিক এবং কঠিন বলে মনে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানান যায়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে একজন ভোটারকে মোট ৪১টি পদের জন্য ভোট দিতে হয়। এর মধ্যে ডাকসুর কেন্দ্রীয় ২৮টি এবং হল সংসদের ১৩টি পদ রয়েছে। মোট ভোটদানের জন্য প্রতি ভোটারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৮ মিনিট।
এই হিসেবে, ৪১টি ভোট ৮ মিনিটে দিলে প্রতি মিনিটে একজন ভোটারকে ৫.১২৫টি ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতি ১১.৭১ সেকেন্ডে একটি ভোট না দিলে পুরো ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীরা এই সময়সীমাকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, এত কম সময়ে ৪১টি পদে ভোট দেওয়া প্রায় অসম্ভব, বিশেষ করে যদি ভোটাররা প্রতিটি প্রার্থীর বিষয়ে ভেবেচিন্তে ভোট দিতে চান। এই সময়ের সীমাবদ্ধতা এবং ভোটদানের সময় দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে অনেক ভোটার ধৈর্য হারিয়ে ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে পারেন। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সময় বাড়ানো বা ভোটিং পদ্ধতি সহজ করার প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
- আরও পড়ুন
ডাকসু নির্বাচনে ১১ প্যানেলে লড়ছেন যারা
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাইবার অপরাধে ছাড় নেই: রিটার্নিং অফিস
যদিও সময়ের ব্যাপারে একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ও ভোটগ্রহণের সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ভোটারের জন্য ৮ মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসবেন, সেটা ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় উপস্থিত হন, তাদেরও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এমএইচএ/কেএইচকে/জেআইএম