হৃদরোগীদের জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রী করোনারি স্টেন্টের (হার্টের রিং) দাম কমিয়েছে সরকার। কোম্পানি ও ধরন অনুযায়ী প্রতিটি স্টেন্টের দাম তিন হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দাম কমেছে অ্যাবট, বোস্টন সায়েন্টিফিক ও মেডট্রনিক কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের। হাসপাতালগুলো স্টেন্টের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশের বেশি সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না বলেও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
- আরও পড়ুন
নির্দলীয়, সৎ ও দক্ষ লোক পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে নতুন জীবন দিতে পারে ‘সিপিআর’
এতে বলা হয়েছে, স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
স্টেন্ট বা রিং পরানোই বাংলাদেশে হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। কারও হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে ডাক্তাররা তাকে এক বা একাধিক রিং পরানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হার্টে রিং পরানোর পদ্ধতিকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি সরু ক্যাথেটার ব্যবহার করে ধমনীতে একটি ছোট, জাল আকৃতির নল (স্টেন্ট) স্থাপন করা হয়। এটি রক্তনালীকে খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
বাংলাদেশে রিং আসে দেশের বাইরে থেকে। সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এগুলো আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড থেকে রিং আসে বাংলাদেশে। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকেও রিং আমদানি করা হয়।
আমদানি করা এসব রিংয়ের মূল্য তালিকা বিভিন্ন হাসপাতালে টানানো থাকে। রোগীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ তালিকা থেকে বেছে নেওয়া রিং রোগীর হার্টে প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
কেএসআর/