দিনাজপুরে শুধু চা তৈরির কনটেন্ট বানিয়ে সিলভার প্লে বাটন অর্জন করায় পাঁচ হাজার কাপ চা ফ্রি খাওয়ালেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৯ মণ দুধের এই চা খাওয়ার জন্য দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার সাবস্ক্রাইবাররা ভিড় করেন।
৯ মণ দুধের চা তৈরি ও বিতরণ করতে দোকানে ১০ জন কর্মচারীকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। এমনই ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার সামনে কালিতলা নিউমার্কেটে ‘জামাই টি স্টলে’।
ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জামাই টি স্টলের মালিক চা তৈরির কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাইদুর রহমান (জামাই)। তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘jamai tea stall’।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইদুর রহমান কোতোয়ালি থানার সামনে কালিতলা নিউমার্কেটের একজন কর্মচারীর মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর ২০২০ সালে নিজেই নিউমার্কেটে চায়ের দোকান দেন। সেই সুবাদে সবাই তাকে ‘জামাই’ বলে ডাকেন। পরে তার চায়ের দোকানের নাম পড়ে যায় ‘জামাই টি স্টল’। একপর্যায়ে তার চায়ের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি ২০২০ সালের মার্চ মাসে ‘jamai tea stall’ নামে ইউটিউব চ্যানেল চালু করেন এবং একেক সময় একেক রকম চা তৈরির ভিডিও আপলোড করতে থাকেন। বিভিন্ন মিডিয়া তাকে নিয়ে প্রতিবেদনও করে।
১০ রকমের চা তৈরি করেন সাইদুর রহমান। এরমধ্যে লাল চা সর্বনিম্ন সাত টাকা এবং স্পেশাল চা সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় বিক্রি করেন। তার ‘jamai tea stall’ নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। যার ফলোয়ার ৪৪ হাজার।
সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলটিতে এক লাখ সাবস্ক্রাইবার পূরণ হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি সিলভার প্লে বাটনটি ডাকযোগে হাতে পান।
চা তৈরির কনটেন্ট বানিয়ে সিলভার প্লে বাটন অর্জন করায় সাইদুর রহমান সাবস্ক্রাইবারদের জন্য ফ্রি চা উৎসবের আয়োজন করেন। বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি প্রায় পাঁচ হাজার কাপ চা ফ্রি খাওয়ান। সন্ধ্যা ৭টায় সাবস্ক্রাইবার, ভক্ত ও গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়ে সিলভার প্লে বাটন উন্মুক্ত করেন।
এ বিষয়ে জামাই টি স্টলের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে আমি টিকটকে চা তৈরির ভিডিও আপলোড করতাম। তাতে ব্যাপক সাড়া পাই। পরবর্তীতে বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়টর আমার ভিডিও দেখে ইউটিউবে চ্যানেল খোলার পরামর্শ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি ইউটিউবে চ্যানেল খুলি।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি খুব শিগগির আমরা গোল্ডেন প্লে বাটন পাবো। যারা আমাকে এই পথে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা করছেন, তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জিকেএস