ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ রাশিয়াকে দিতে হতে পারে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া একটি ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে হতে পারে এবং নিজেদের সেনাবাহিনীও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করতে হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউক্রেন কখনোই ন্যাটোতে যোগ দেবে না বলে অঙ্গীকার করবে। ইউক্রেন যে পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী চাইছিল, সেটিও এই পরিকল্পনায় নেই। তবে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে। অন্যদিকে, রাশিয়াকে আবার জি-৮-এ ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং দেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা থেকে বড় ধরনের ছাড়। পরিকল্পনাটিকে এখনো কার্যপ্রক্রিয়াধীন নথি বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ইউক্রেনকে বড় ছাড় দিতে হচ্ছে। যদিও কিয়েভ আগেই স্পষ্ট জানিয়ে রেখেছিল, তারা কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে পরিকল্পনাটি নিয়ে কথা বলবেন। যে কোনো চুক্তিই হতে হবে সম্মানজনক শান্তি, যা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে। হোয়াইট হাউজ দাবি করেছে, এ পরিকল্পনা মস্কোর সঙ্গে গোপনে তৈরি করা হয়নি। তাদের বক্তব্য, ব

ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের বড় অংশ রাশিয়াকে দিতে হতে পারে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া একটি ২৮ দফা শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে হতে পারে এবং নিজেদের সেনাবাহিনীও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করতে হবে।

খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউক্রেন কখনোই ন্যাটোতে যোগ দেবে না বলে অঙ্গীকার করবে। ইউক্রেন যে পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনী চাইছিল, সেটিও এই পরিকল্পনায় নেই। তবে ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে।

অন্যদিকে, রাশিয়াকে আবার জি-৮-এ ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং দেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা থেকে বড় ধরনের ছাড়। পরিকল্পনাটিকে এখনো কার্যপ্রক্রিয়াধীন নথি বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ইউক্রেনকে বড় ছাড় দিতে হচ্ছে। যদিও কিয়েভ আগেই স্পষ্ট জানিয়ে রেখেছিল, তারা কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে পরিকল্পনাটি নিয়ে কথা বলবেন। যে কোনো চুক্তিই হতে হবে সম্মানজনক শান্তি, যা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে।

হোয়াইট হাউজ দাবি করেছে, এ পরিকল্পনা মস্কোর সঙ্গে গোপনে তৈরি করা হয়নি। তাদের বক্তব্য, বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত এক মাস ধরে দুই পক্ষের সঙ্গে নীরবে কাজ করছেন।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করছেন। এটি রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের জন্যই ভালো।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ট্রাম্প নিজেই একটি ‘শান্তি পরিষদ’ পরিচালনা করবেন, যা যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow