ইউক্রেনের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২৬

ইউক্রেনের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো জানিয়েছেন, পশ্চিম ইউক্রেনের টেরনোপিল শহরে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। খবর রয়টার্সের। ইহোর ক্লাইমেনকো জানিয়েছেন, রাতভর রাশিয়ার হামলার পর থেকে ২৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জন হামলায় আহত হয়েছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে ৪৭৬টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব হামলার কারণে তীব্র শীতের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। হামলায় টেরনোপিলের একটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনের বাসিন্দারা প্রিয়জনদের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। টেলিগ্রামে এক পোস্টে ক্লিমেনকো লিখেছেন, জরুরি কর্মীরা রাতভর কাজ করেছেন। তারা ভেঙে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে তল্লাশি চালিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখনো অনেক কাজ বাকি। মূল কা

ইউক্রেনের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২৬

ইউক্রেনের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো জানিয়েছেন, পশ্চিম ইউক্রেনের টেরনোপিল শহরে রাতভর রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত এবং অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

ইহোর ক্লাইমেনকো জানিয়েছেন, রাতভর রাশিয়ার হামলার পর থেকে ২৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জন হামলায় আহত হয়েছেন।

রাশিয়া ইউক্রেনে ৪৭৬টি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব হামলার কারণে তীব্র শীতের মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

হামলায় টেরনোপিলের একটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনের বাসিন্দারা প্রিয়জনদের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।

টেলিগ্রামে এক পোস্টে ক্লিমেনকো লিখেছেন, জরুরি কর্মীরা রাতভর কাজ করেছেন। তারা ভেঙে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে তল্লাশি চালিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখনো অনেক কাজ বাকি। মূল কাজ হলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে খুঁজে বের করা। একটি ভবনের দুটি প্রবেশপথ সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে। সেখানে একটিও অ্যাপার্টমেন্ট অক্ষত ছিল না। আগুন তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় তিন শিশু নিহত হয়েছে। ওকসানা কোবেল নামের এক বাসিন্দা জানান তিনি আশা করেছিলেন যে, তার ছেলেকে জীবিত পাওয়া যাবে। হামলার সময় সে নবম তলার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ছিল।

তিনি বলেন, আমি কাজে গিয়েছিলাম, বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। আমি তাকে ফোন করে বললাম, বোহদান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাও, পোশাক পরো। সে উত্তর দিল, মা, আমি উঠে পড়েছি, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

টিটিএন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow