ওমরাহর ইহরামে ছাতা ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন: ওমরাহর ইহরাম বাঁধার পর রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করা যাবে কি? উত্তর: হজ ও ওমরাহর ইহরাম বাঁধার পর পুরুষদের জন্য টুপি, পাগড়ি বা কাপড় ইত্যাদি দিয়ে মাথা আবৃত করা নিষিদ্ধ। তবে রোদ থেকে বাঁচতে মাথা থেকে আলাদা কোনো কাপড়, ছাউনি বা ছাতা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই ইহরামরত অবস্থায় রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ছায়া গ্রহণ করেছেন। উম্মে হোসাইন (রা.) বলেন, আমি বিদায় হজে রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে হজ করেছি। আমি একদিন দেখলাম যে, উসামা (রা.) ও বেলাল (রা.) তার সঙ্গে আছেন। তাদের একজন নবীজির (সা.) উটের লাগাম ধরে আছেন, আর অপরজন ওপরে কাপড় তুলে তাকে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করছেন। এরপর নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামারায় পাথর নিক্ষেপ করলেন। (সহিহ মুসলিম: ১২৯৮) হজ ও ওমরাহর ইহরামে যেসব কাজ নিষিদ্ধ ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ ১. মাথার চুল, গোঁফ, দাড়ি, শরীরের অন্যান্য জায়গার লোম মুণ্ডন করা, ছোট করা কিংবা উঠিয়ে ফেলা। ২. ইহরামের অবস্থায় নখ কাটা বা নখ উঠিয়ে ফেলা। তবে কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে কষ্টদায়ক অংশটুকু কেটে ফে
প্রশ্ন: ওমরাহর ইহরাম বাঁধার পর রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর: হজ ও ওমরাহর ইহরাম বাঁধার পর পুরুষদের জন্য টুপি, পাগড়ি বা কাপড় ইত্যাদি দিয়ে মাথা আবৃত করা নিষিদ্ধ। তবে রোদ থেকে বাঁচতে মাথা থেকে আলাদা কোনো কাপড়, ছাউনি বা ছাতা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ নয়।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই ইহরামরত অবস্থায় রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ছায়া গ্রহণ করেছেন। উম্মে হোসাইন (রা.) বলেন, আমি বিদায় হজে রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে হজ করেছি। আমি একদিন দেখলাম যে, উসামা (রা.) ও বেলাল (রা.) তার সঙ্গে আছেন। তাদের একজন নবীজির (সা.) উটের লাগাম ধরে আছেন, আর অপরজন ওপরে কাপড় তুলে তাকে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করছেন। এরপর নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামারায় পাথর নিক্ষেপ করলেন। (সহিহ মুসলিম: ১২৯৮)
হজ ও ওমরাহর ইহরামে যেসব কাজ নিষিদ্ধ
ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ
১. মাথার চুল, গোঁফ, দাড়ি, শরীরের অন্যান্য জায়গার লোম মুণ্ডন করা, ছোট করা কিংবা উঠিয়ে ফেলা।
২. ইহরামের অবস্থায় নখ কাটা বা নখ উঠিয়ে ফেলা। তবে কোনো নখ ভেঙ্গে গেলে কষ্টদায়ক অংশটুকু কেটে ফেলে দিলে কোনো অসুবিধা নেই।
৩. ইহরাম অবস্থায় ইহরামের কাপড়ে, শরীরে অথবা শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন কিছুতে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৪. বিয়ে করা, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া বা অভিভাবক বা উকিল হয়ে কাউকে বিয়ে দেওয়া।
৫. যৌন কামনার সঙ্গে চুম্বন করা, স্পর্শ করা কিংবা জড়িয়ে ধরা। যৌন আবেদন সৃষ্টি করে এমন কথাবার্তা বলা বা রসিকতা করা।
৬. যৌন মিলন করা।
৭. নিজে শিকার করা বা কাউকে শিকার করতে সহযোগিতা করা।
৮. ক্ষতিকর নয় এমন কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখি মারা।
ইহরাম অবস্থায় শুধু পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ যেসব কাজ
১. মাথা ঢাকা। পুরুষের জন্য ইহরাম অবস্থায় এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ যা মাথার সাথে লেগে থাকে যেমন পাগড়ি, বিভিন্ন প্রকারের টুপি ও রুমাল ইত্যাদি। তবে এমন কিছু দিয়ে মাথা ঢাকা যায়, যা মাথার সাথে লেগে থাকে না যেমন, ছাতা, গাড়ির ছাদ, তাঁবু ইত্যাদি।
২. সেলাই করা কাপড় পরা। পুরুষদের জন্য ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড় পরা নিষিদ্ধ। সেলাইকৃত কাপড়ের অর্থ হলো, এমন কাপড় যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অবয়ব অনুযায়ী তৈরি করা হয় যেমন জুব্বা, পাঞ্জাবি, পাজামা, প্যান্ট, গেঞ্জি, আণ্ডারওয়্যার, মোজা, হাত বা পায়ের মোজা।
৩. পায়ের পাতার ওপরের অংশ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা।
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য নিষিদ্ধ যেসব কাজ
ইহরাম অবস্থায় নারীর জন্য সেলাই করা পোশাক, মাথা ঢাকা ইত্যাদি বৈধ হলেও দুটি কাজ নিষিদ্ধ:
১. হাত মোজা পরা।
২. নেকাব পরিধান করা। তবে পরপুরুষ সামনে চলে এলে ওড়না ঝুলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চেহারা আবৃত করা যবে।
বলাবাহুল্য, এ দুটি কাজ পুরুষের জন্যও নিষিদ্ধ। কিন্তু পুরুষদের জন্য যেহেতু সেলাইকৃত যে কোনো পোশাক নিষিদ্ধ, মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ তাই এগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে না।
ওএফএফ/জেআইএম
What's Your Reaction?