ডায়েট ছাড়াই যেভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনবেন

নতুন বছর আসলেই অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠে, এবার কি ওজন কমানো সম্ভব? ডিসেম্বর মাসে অতিরিক্ত খাওয়ার পর জানুয়ারিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন অনেকেই। ক্র্যাশ ডায়েট, দীর্ঘসময় জিম করা, প্রিয় খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ দেয়া—এমন নানা পরিকল্পনা কিন্তু বেশিরভাগ সময় বেশিদিন টেকে না। ফিটনেস কোচদের মতে, ওজন কমানো মানে নিজেকে কষ্ট দেয়া নয়, বরং জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ছোট সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা। এই চিন্তাভাবনায় ফিটনেস ও ওয়েলনেস কোচ সুমিত দুবে জানালেন ৫টি বাস্তবসম্মত সংকল্প, যা জানুয়ারিতে ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়াই আপনাকে ধীরে, কিন্তু স্থায়ীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ১. পারফেক্ট হওয়ার চাপ ত্যাগ করুন সুমিতের মতে, সবকিছু একদম নিখুঁতভাবে করতে হবে, এমন চিন্তা খুব ব্যর্থতার কারণ হয়। প্রতিদিন নিয়মিত জিম বা এক ফোঁটা মিষ্টি না খাওয়ার এই "১০০ শতাংশ" মানসিকতা দীর্ঘদিন টেকেনা। তবে, যদি ১০ দিনের মধ্যে ৭ দিন নিয়ম মানা যায়, সেটাই ভালো অগ্রগতি। একদিন ব্যায়াম মিস বা একটু বেশি খেয়ে ফেললেও সেটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত ছোট কাজগুলোই মূল বিষয়। ২. খাবারের দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিন ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই মনে করেন ভাত-র

ডায়েট ছাড়াই যেভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনবেন

নতুন বছর আসলেই অনেকের মনে প্রশ্ন ওঠে, এবার কি ওজন কমানো সম্ভব? ডিসেম্বর মাসে অতিরিক্ত খাওয়ার পর জানুয়ারিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন অনেকেই। ক্র্যাশ ডায়েট, দীর্ঘসময় জিম করা, প্রিয় খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ দেয়া—এমন নানা পরিকল্পনা কিন্তু বেশিরভাগ সময় বেশিদিন টেকে না।

ফিটনেস কোচদের মতে, ওজন কমানো মানে নিজেকে কষ্ট দেয়া নয়, বরং জীবনযাত্রার সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ছোট সুস্থ অভ্যাস গড়ে তোলা। এই চিন্তাভাবনায় ফিটনেস ও ওয়েলনেস কোচ সুমিত দুবে জানালেন ৫টি বাস্তবসম্মত সংকল্প, যা জানুয়ারিতে ক্র্যাশ ডায়েট ছাড়াই আপনাকে ধীরে, কিন্তু স্থায়ীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

১. পারফেক্ট হওয়ার চাপ ত্যাগ করুন

সুমিতের মতে, সবকিছু একদম নিখুঁতভাবে করতে হবে, এমন চিন্তা খুব ব্যর্থতার কারণ হয়। প্রতিদিন নিয়মিত জিম বা এক ফোঁটা মিষ্টি না খাওয়ার এই "১০০ শতাংশ" মানসিকতা দীর্ঘদিন টেকেনা। তবে, যদি ১০ দিনের মধ্যে ৭ দিন নিয়ম মানা যায়, সেটাই ভালো অগ্রগতি। একদিন ব্যায়াম মিস বা একটু বেশি খেয়ে ফেললেও সেটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত ছোট কাজগুলোই মূল বিষয়।

২. খাবারের দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিন

ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই মনে করেন ভাত-রুটি বাদ দিয়েই রাখতে হবে, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ডাল, সবজি, ভাত, রুটি—এগুলো ঘরোয়া খাবারই যথেষ্ট, যদি খাওয়ার পরিমাণ এবং সময়ের প্রতি খেয়াল রাখা যায়। অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজাভুজি বা গভীর রাতে স্ন্যাকস কমালেই বড় পরিবর্তন আসবে। কঠোর ডায়েট শরীর ও মনকে ক্লান্ত করে তোলে, যা দীর্ঘস্থায়ী নয়।

৩. জিম না গেলেও চলবে

সবাই জিম পছন্দ করে না, যা স্বাভাবিক। তবে, ওজন কমাতে জিম যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। হাঁটা, যোগব্যায়াম, ঘরে হালকা এক্সারসাইজ বা সহজ স্ট্রেংথ ট্রেনিং—যেটা আপনার ভালো লাগে, সেটা করুন। প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করলেই যথেষ্ট। ইনস্টাগ্রামের কঠিন রুটিন দেখে নিজের উপর চাপ ফেলবেন না।

৪. ঘুম ও স্ট্রেসের গুরুত্ব দিন

কম ঘুম এবং অতিরিক্ত স্ট্রেস ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় শত্রু। যদি ভালোভাবে না ঘুমানো হয়, তাহলে ফ্যাট বার্ন কমে যায়, এবং খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে। স্ট্রেসে থাকলে আমরা অকারণেও বেশি খাবার খেয়ে ফেলি। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা হাঁটা ও গভীর শ্বাস নেওয়ার মতো ছোট অভ্যাস খুব জরুরি। বিশ্রাম কোনও বিলাসিতা নয়, রুটিনের অংশ।

৫. ওজন মেশিনের সংখ্যার দিকে অতিরিক্ত মনোযোগ দেবেন না

প্রতিদিন ওজন মাপা মানে মানসিক চাপের সৃষ্টি করা। ওজন শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, যা সবকিছু নয়। বরং দেখুন, সহনশক্তি বাড়ছে কি না, কোমরের মাপ কমছে কি না, জামা ঢিলাচ্ছে কি না। সপ্তাহে একদিন ওজন মাপলেই যথেষ্ট। আসল পরিবর্তনটা বুঝতে পারেন দৈনন্দিন অনুভূতিতে।

নতুন বছরে অনেকেরই নানা পরিকল্পনা থাকে। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা থাকে, তবে সঠিক নিয়ম মানতে হবে। সবচেয়ে ভালো হবে যদি চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া যায়। ইন্টারনেটে দেখে নিজের মতো করে পরিকল্পনা নিলে তা বিপদের কারণ হতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow