ঢাবির মুজিব হলের নাম মুছে লেখা হলো ‘শহীদ ওসমান হাদি’ হল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান ফটকের ওপর থাকা নাম মুছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ লিখে দিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলের প্রধান ফটকের নামফলকে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ লেখার কাজ শুরু হয়। রাত ১১টায় লিখন সম্পন্ন হয়। হল সংসদের নেতাকর্মীসহ হলের আাবসিক শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন। হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমান বলেন, খুনিদের আদর্শিক পিতা শেখ মুজিবের নাম বাদ দিয়ে আমরা জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে হলের নাম করতে চাচ্ছি। হাদি ভাইয়ের খুনিদের ইন্টেরিম ধরতে পারেনি। তাই তার একপ্রকার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি। হল সংসদের জিএস আহমেদ আল সাবাহ বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা হলগুলোর নাম পরিবর্তন করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো তার নামে একটি হল বহাল রয়েছে। বিষয়টি পরিবর্তনের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। হলের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গণস

ঢাবির মুজিব হলের নাম মুছে লেখা হলো ‘শহীদ ওসমান হাদি’ হল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রধান ফটকের ওপর থাকা নাম মুছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ লিখে দিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলের প্রধান ফটকের নামফলকে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ লেখার কাজ শুরু হয়। রাত ১১টায় লিখন সম্পন্ন হয়। হল সংসদের নেতাকর্মীসহ হলের আাবসিক শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমান বলেন, খুনিদের আদর্শিক পিতা শেখ মুজিবের নাম বাদ দিয়ে আমরা জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নামে হলের নাম করতে চাচ্ছি। হাদি ভাইয়ের খুনিদের ইন্টেরিম ধরতে পারেনি। তাই তার একপ্রকার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা এই নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি।

হল সংসদের জিএস আহমেদ আল সাবাহ বলেন, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা হলগুলোর নাম পরিবর্তন করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো তার নামে একটি হল বহাল রয়েছে। বিষয়টি পরিবর্তনের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

হলের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হলের নাম পরিবর্তনের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চালানো হলে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্বাক্ষরের মাধ্যমে সমর্থন জানান।

তিনি জানান, হলের সব শিক্ষার্থী আবাসিক না হলেও সবার মতামতের ভিত্তিতে এর আগে হলের নাম ‘বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এফএআর/বিএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow