বাউলশিল্পীর বিচার দাবি খতমে নবুওয়তের

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য করার সাহস না পায়। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যে আবুল সরকার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা দেশব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিক তদন্ত ও বিচার হওয়াই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। কোনোভাবেই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষ সৃষ্টি করা উচিত নয়। তিনি বলেন, সংবেদনশীল ধর্মীয় বিষয়ে দায়িত্বশীলতা ও সংযম বজায় রাখা সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার যে কোনো প্রয়াসকে আইনগত কাঠামোর মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ, বিদ্বেষ উসকে দেওয়া বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো আ

বাউলশিল্পীর বিচার দাবি খতমে নবুওয়তের
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য করার সাহস না পায়। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যে আবুল সরকার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা দেশব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিক তদন্ত ও বিচার হওয়াই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। কোনোভাবেই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষ সৃষ্টি করা উচিত নয়। তিনি বলেন, সংবেদনশীল ধর্মীয় বিষয়ে দায়িত্বশীলতা ও সংযম বজায় রাখা সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার যে কোনো প্রয়াসকে আইনগত কাঠামোর মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ, বিদ্বেষ উসকে দেওয়া বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো আচরণ সম্পূর্ণরূপে অনভিপ্রেত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ ধরনের যে কোনো ঘটনার বিচার হতে হবে স্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে—গুজব বা আবেগের ওপর নয়। সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই সর্বাধিক জরুরি। তিনি বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, সামাজিক শান্তি রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি কোনো পক্ষ যেন উত্তেজনা সৃষ্টি না করে বা আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না করে— এটি সমাজের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থেও গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে তিনি সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনা করবেন এবং আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা আমাদের সবার যৌথ দায়িত্ব।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow