ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে চবিতে অবস্থান কর্মসূচি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২৫-২৬ সেশনের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘শহিদদের ক্যাম্পাসে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘তরুয়ার ক্যাম্পাসে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘ফি নামে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘চবি কেবল এলিটদের নয়, চাষাভুষার সবার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর হুঁশিয়ারি দেয়। শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার পর অন্তত নিজেদের অধিকার ফিরে পাব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনো বারবার আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য পথে নামতে হচ্ছে। সর্বশেষ আমরা চাকসু নামিয়েছিলাম, তার পরও আজ আবার একই জায়গায় দাঁড়াতে হচ্ছে। গত বছর আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। তারা বলেছিল এ বছর থেকে কার্যকর করা হবে, হিসাব দেওয়া হবে— কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়নি। চট্টগ্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০২৫-২৬ সেশনের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘শহিদদের ক্যাম্পাসে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘তরুয়ার ক্যাম্পাসে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘ফি নামে জুলুমবাজি চলবে না’, ‘চবি কেবল এলিটদের নয়, চাষাভুষার সবার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগানোর হুঁশিয়ারি দেয়।
শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ভেবেছিলাম শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার পর অন্তত নিজেদের অধিকার ফিরে পাব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এখনো বারবার আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য পথে নামতে হচ্ছে। সর্বশেষ আমরা চাকসু নামিয়েছিলাম, তার পরও আজ আবার একই জায়গায় দাঁড়াতে হচ্ছে। গত বছর আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। তারা বলেছিল এ বছর থেকে কার্যকর করা হবে, হিসাব দেওয়া হবে— কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষকের ছেলেও পড়তে চায়। ২/৩ ইউনিটে আবেদন ও যাতায়াতে প্রচুর খরচ হয়ে যায়, যা তাদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব বিবেচনায় আমরা ভর্তি ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
ইতিহাস বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী রাতুল বিন হোসেন বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে এসব দাবি জানিয়ে আসছি। হয়ত ১০০০ টাকা আপনার কাছে খুব বড় কিছু নয়, কিন্তু এই ১০০০ টাকাই অনেকের এক সপ্তাহের জীবনধারণের খরচ। যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তা কমানোর দাবি জানাচ্ছি এবং এটি ২৫০–৩০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করার দাবি করছি।
ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিবি বলেন, আমরা মনে করি, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতি ইউনিটে ১০০০ টাকা ফি এটা কোনোমতেই ন্যায্য নয়, এটি সরাসরি জুলুম। যেখানে একজন রিকশাচালকের দৈনিক আয় ৫০০ টাকার বেশি নয়, সেখানে তিনি কীভাবে এতগুলো ইউনিটে তার ছেলেকে আবেদন করাবেন?
তিনি আরও বলেন, গত বছর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা রাখা হয়নি। বরং প্রতি ইউনিটে একই উচ্চ ফি বজায় রাখা হয়েছে। আমরা দাবি জানাচ্ছি, ফি অবিলম্বে কমিয়ে আনা হোক। রোববারের মধ্যে যদি সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয় এবং অন্যায় ফি বাতিল না করা হয়, তবে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের আন্দোলন ক্রমেই আরও কঠোর হবে।
চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, চবিতে ১০০০ টাকার ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গত বছরও আন্দোলন হয়েছিল। চাকসুর প্রথম সভাতেই আমরা ভর্তির বিষয় ও পরীক্ষার ফিসংক্রান্ত দাবি উত্থাপন করেছিলাম। পোষ্য কোটা কমানো হলেও ভর্তি ফি কমানো হয়নি এ বিষয়টি বারবার জানিয়েছি। আজও আমরা একই দাবি উপাচার্যকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখবো। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খরচ বিবেচনা করেই ১০০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২ জানুয়ারি এ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে চলতি সেশনের ভর্তি কার্যক্রমের সূচনা হবে।
What's Your Reaction?