মুরগি চুরি নিয়ে বিরোধে ৯ দিনের ব্যবধানে প্রাণ গেলো দুজনের
মুরগি চুরি নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় একজন নিহত হওয়ার ৯ দিন পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুলশিক্ষার্থী স্বাধীন ইসলামের (১৭) মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে গত ৯ মে রাতে স্বাধীনের পক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ নিহত হন প্রতিপক্ষের তরিকুল ইসলাম ভুট্টো (৫০)। আরও পড়ুন: বগুড়ায় মুরগি চুরি নিয়ে বিরোধ, কাঠমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাবতলী দুর্গাহাটার কিত্তনীয়া গ্রামে গত মে মাসে ৪২টি মুরগি চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। মুরগির খামার মালিক জহুরুল ও খায়রুলদের সঙ্গে নিহত স্বাধীনদের দলের সদস্যদের প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমা ও তীব্র উত্তেজনার জন্ম দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিরোধের জেরে নিহত স্বাধীন ও তার সহযোগীরা প্রথমে খামার মালিক খায়রুল ও তা
মুরগি চুরি নিয়ে শুরু হওয়া বিরোধে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় একজন নিহত হওয়ার ৯ দিন পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুলশিক্ষার্থী স্বাধীন ইসলামের (১৭) মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এর আগে গত ৯ মে রাতে স্বাধীনের পক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রাণ নিহত হন প্রতিপক্ষের তরিকুল ইসলাম ভুট্টো (৫০)।
আরও পড়ুন:
বগুড়ায় মুরগি চুরি নিয়ে বিরোধ, কাঠমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাবতলী দুর্গাহাটার কিত্তনীয়া গ্রামে গত মে মাসে ৪২টি মুরগি চুরির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। মুরগির খামার মালিক জহুরুল ও খায়রুলদের সঙ্গে নিহত স্বাধীনদের দলের সদস্যদের প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমা ও তীব্র উত্তেজনার জন্ম দেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে এই বিরোধের জেরে নিহত স্বাধীন ও তার সহযোগীরা প্রথমে খামার মালিক খায়রুল ও তার দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এরই জের ধরে গত ৯ নভেম্বর প্রথমে খায়রুল ও তার সহযোগীরা স্বাধীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এরপর একই দিন সন্ধ্যায় দুর্গাহাটার রামচন্দ্রপুর বাজার থেকে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন ভুট্টো। কীর্তনীয়া বাজারে স্বাধীনের অনুসারীরা তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় নিহত স্বাধীনের পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে স্বাধীনের পরিবারের দাবি, এটি শুধু মুরগি চুরির বিরোধ নয়, জমিজমাসংক্রান্ত পুরোনো বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার জানান, স্বাধীনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও এ বিষয়ে অভিযোগ সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএন/এমএস
What's Your Reaction?