হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী? যা বলছেন পুষ্টিবিদ
ডিম এমন এক খাবার, যা সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবারটি সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার— সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়। তবে, অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, শরীরের জন্য হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী? এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেবরায়। তার ভাষায়,হাঁস ও মুরগির ডিমের মধ্যে খুব বড় পার্থক্য নেই। উভয় ডিমেই সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ থাকে। এগুলো শরীরের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। তবে পার্থক্য তৈরি করে ‘ট্রিপটোফ্যানোমিটার’ নামক একটি উপাদান, যা হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে। এটি প্রোটিন হলেও সহজে হজম হয় না এবং পেটে অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। তাই হাঁসের ডিম বেশি সময় ধরে সেদ্ধ করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেদ্ধ দিলেই হবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ। এদিকে, ক্যালোরি ও ফ্যাটে কিছু ব্যবধান রয়েছে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে থাকে প্রায় ১৮৫ ক্যালোরি এবং
ডিম এমন এক খাবার, যা সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই খাবারটি সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার— সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়। তবে, অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, শরীরের জন্য হাঁস নাকি মুরগির ডিম বেশি উপকারী?
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেবরায়। তার ভাষায়,হাঁস ও মুরগির ডিমের মধ্যে খুব বড় পার্থক্য নেই। উভয় ডিমেই সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ থাকে। এগুলো শরীরের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
তবে পার্থক্য তৈরি করে ‘ট্রিপটোফ্যানোমিটার’ নামক একটি উপাদান, যা হাঁসের ডিমে বেশি পরিমাণে থাকে। এটি প্রোটিন হলেও সহজে হজম হয় না এবং পেটে অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। তাই হাঁসের ডিম বেশি সময় ধরে সেদ্ধ করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সেদ্ধ দিলেই হবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
এদিকে, ক্যালোরি ও ফ্যাটে কিছু ব্যবধান রয়েছে। ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে থাকে প্রায় ১৮৫ ক্যালোরি এবং ৩.৬৮ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে থাকে ১৪৯ ক্যালোরি এবং ৩.১ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
যারা হাই-প্রোটিন ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাদের জন্য হাঁসের ডিম হতে পারে ভালো পছন্দ। কিন্তু যাদের রয়েছে হৃদ্রোগ, উচ্চ কোলেস্টেরল বা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, তাদের জন্য কুসুম না খেয়ে কেবল ডিমের সাদা অংশ খাওয়াই নিরাপদ।
সংক্ষেপে বলা যায়, আপনি যদি বেশি প্রোটিন চান তবে হাঁসের ডিম, আর যদি হজম সহজ রাখতে চান তবে মুরগির ডিম— এই হচ্ছে মূল ফারাক। তবে, যে কোনো অবস্থাতেই পরিমিত ও সঠিক প্রক্রিয়ায় খাওয়াটা জরুরি।
What's Your Reaction?