১৪ দিন ধরে বন্ধ সোনাহাট বন্দর
উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ভারতীয় রপ্তানিকারকদের পাথরের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা পাথর আমদানি বন্ধ রাখায় এ স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে বন্দরটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শতাধিক শ্রমিক চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশি আমদানিকারকদের দাবি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পাথরের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বাজারদরের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে বাংলাদেশে পাথরের দাম প্রতি টনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমলেও ভারতীয় পক্ষ উচ্চ দাম চাইছে। এ বিরোধের কারণে গত ১৩ নভেম্বর থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে সোনাহাট স্থলবন্দর যাত্রা শুরু করে। ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বন্দরে রয়েছে ৬০০ টন ধারণক্ষমতার গুদামঘর, ২ লাখ বর্গফুটের পার্কিং ও স্টকইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন ও শ্রমিক বিশ্রামাগার। চালুর পর থেকেই এটি উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয়
উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরে ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
ভারতীয় রপ্তানিকারকদের পাথরের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা পাথর আমদানি বন্ধ রাখায় এ স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে বন্দরটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শতাধিক শ্রমিক চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
বাংলাদেশি আমদানিকারকদের দাবি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পাথরের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বাজারদরের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে বাংলাদেশে পাথরের দাম প্রতি টনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমলেও ভারতীয় পক্ষ উচ্চ দাম চাইছে। এ বিরোধের কারণে গত ১৩ নভেম্বর থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে সোনাহাট স্থলবন্দর যাত্রা শুরু করে। ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বন্দরে রয়েছে ৬০০ টন ধারণক্ষমতার গুদামঘর, ২ লাখ বর্গফুটের পার্কিং ও স্টকইয়ার্ড, প্রশাসনিক ভবন ও শ্রমিক বিশ্রামাগার। চালুর পর থেকেই এটি উত্তরাঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিতি পায়।
অন্যদিকে, গত ৪ মে থেকে ভারতের পক্ষ থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পোশাক, তুলা, প্লাস্টিক, মেলামাইন, আসবাবপত্র ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এবার পাথরের দাম নিয়ে বিরোধ আরও গভীর সংকট তৈরি করেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়সহ সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা হঠাৎ পাথরের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা প্রতি টনে ২০০-৩০০ টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ফলে পাথর আমদানি-রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানিকারক আতিকুর রহমান ও মিজানুর রহমান বলেন, ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ইচ্ছাকৃতভাবে পাথরের দাম বাড়ানোর কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। প্রতি ট্রাকে ২০০-৩০০ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে।
একই বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। পাথরের দাম নিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ১৪ দিন ধরে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এই দীর্ঘস্থায়ী বন্ধের কারণে কাজ না থাকায় আমাদের পরিবার নিয়ে চরম সংকটে পড়েছি।’
সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি- রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা পাথরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এই দামে না দিলে আমদানি বন্ধ থাকবে। অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের দাবি মেনে নিলে আগামী রোববার বন্দরে পাথর আমদানি ফের চালু হবে।’
সোনাহাট স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বদরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘ভারতের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর পর থেকেই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা আলোচনায় বসেছেন, আশা করছি দু-তিন দিনের মধ্যে সমাধান আসবে।’
সোনাহাট স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘এ অচলাবস্থার কারণে সরকার প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। দ্রুত সমাধান কাম্য।’
What's Your Reaction?