অজ্ঞাত একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা গড়ে তুলেছে ইরান

4 hours ago 5

ইরান বিভিন্ন দেশে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা স্থাপন করা হয়েছে, তা আপাতত প্রকাশ করেননি তিনি। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদে বলেন, “আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা স্থাপন করেছি। তবে এখনই নাম ঘোষণা করছি না।” তিনি আরও জানান, গত এক বছরে ইরান নতুন ধরনের উন্নত ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য ওয়ারহেড পরীক্ষাও করেছে।

তার এই মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন বৃহস্পতিবার ইরানের নৌবাহিনী ওমান উপসাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে বৃহৎ সামরিক মহড়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা চালায়। এর আগে গত মাসে ইরান ও রাশিয়া যৌথভাবে কাসারেক্স ২০২৫ নামে মহড়া করেছিল ক্যাসপিয়ান সাগরে।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নিষেধাজ্ঞার কারণে আধুনিক অস্ত্র পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যায় ইরানের। ফলে দেশটি স্থানীয়ভাবে অস্ত্র তৈরি এবং পুরোনো প্রযুক্তি আধুনিকীকরণের পথে হাঁটে।

‘১৫ দিন যুদ্ধ চললে ইসরায়েল মিসাইল ঠেকাতে পারত না’

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, গত জুনে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত যদি ১৫ দিন স্থায়ী হতো, তবে শেষ তিন দিনে ইসরায়েল কোনো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারত না। এ কারণেই ইসরায়েল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় বলে তার মন্তব্য।

তিনি জানান, ইরান এ যুদ্ধে তাদের সবচেয়ে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ ব্যবহারই করেনি। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার, সঙ্গে উন্নত গাইডেন্স ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রযুক্তি রয়েছে।

নাসিরজাদে বলেন, যুদ্ধের শুরুর দিকে প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো হলেও শেষ দিকে ৯০ শতাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তার দাবি, এটি প্রমাণ করে ইরানের অভিজ্ঞতা যেমন বাড়ছিল, তেমনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছিল।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ১২ দিনের যুদ্ধে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করার সাফল্যের হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন এবং কয়েকটি বিমান প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হানে। প্রায় ১২ দিন হামলা-পাল্টাহামলা চলার পর অবশেষে ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।

Read Entire Article