অঞ্জনার শেষ ঠিকানা বনানী কবরস্থান

2 days ago 10

জীবনযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান। হাসপাতালের বিছানা থেকে ঘরে ফেরা হলো না তার।  শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

এরপর শনিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে এই শিল্পীর দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তারপর বাদ জহুর তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে চ্যানেল আইতে নেওয়া হবে তাকে। সেখানে জানাজা শেষে চিত্রনায়িকা অঞ্জনাকে বনানী কবরস্থানে নেওয়া হবে। সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে এই নায়িকার। গণমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরবর্তীতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শে চেকআপের পরে তার রক্তে ইনফেকশন ধরা পড়ে। এক সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নিলেও কোনো উন্নতি হয়নি অঞ্জনার। পরে বুধবার (০১ জানুয়ারি) তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে অঞ্জনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন অঞ্জনা। চিত্রনায়ক ও প্রযোজক সোহেল রানার হাত ধরে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। অঞ্জনার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্যভিত্তিক এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।

ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন অঞ্জনা। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় অভিনয় করেও সুনাম অর্জন করেন এ অভিনেত্রী।
 

Read Entire Article