বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের কপিরাইটকৃত গান অনুমতি ছাড়াই দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। করিমের ছেলে শাহ নূরজালালের পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাজিন আহমেদ।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন অনুমতি বা স্বীকৃতি ছাড়াই শাহ আবদুল করিমের দুটি গান ‘রঙিলা বাড়ৈ’ এবং ‘কোন মিস্তরি নাও বানাইছে’ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেছে।
২০১৬ এবং ২০২২ সালে প্রচারিত দুটি বিজ্ঞাপনে এসব গান ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের ব্যবহার কপিরাইট আইন এবং শিল্পীর নৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
নোটিশে গ্রামীণফোনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই গানসম্বলিত কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে শাহ আবদুল করিমকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকা। প্রতিটি গানের জন্য ১০ কোটি করে এই ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে এই দাবিগুলো পূরণের জন্য। তা না হলে কপিরাইট আইন, ২০২৩ অনুযায়ী দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন করিম পরিবারের আইনজীবী।
এই বিষয়ে শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালাল বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ আইন খুব একটা বুঝি না। কিন্তু এটা বুঝি, বাবার গান কেউ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে আমাদের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। সেই গান থেকে আয় হলে, আমাদেরও তো একটা প্রাপ্য থাকে।’
এই ঘটনায় এখনও গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এলআইএ/এএসএম