যশোরের অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে রবিউল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- উপজেলার বুইকারা গ্রামের গরুহাটা এলাকার রাঙ্গা মোল্যার ছেলে অহিদুল ইসলাম ওরফে ডেভিট (২০) ও তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বাবুর ছেলে শাহিন হোসেন (২১)।
এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন গরুহাটা এলাকায় রবিউল ইসলামকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করেন অহিদুল ইসলাম ওরফে ডেভিট ও শাহিন হোসেন। পরে গুরুতর আহত রবিউলকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ভোরে মারা যান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী গরুহাটা এলাকার সজীবুর রহমান, বিপুল মন্ডল ও কালাম ব্যাপারী বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর রেললাইনের ওপর রবিউলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। কিছু সময় পর অহিদুল ও তার চাচাতো ভাই শাহিন ঘটনাস্থলে এসে রবিউলের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে অহিদুল তার লুকিয়ে রাখা ছুরি দিয়ে রবিউলের পেটে আঘাত করে। সে সময় রবিউল রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। সে অবস্থায়ও তাকে বার বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তারা দুজন দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী কোহিনুর বেগম বলেন, আমার স্বামীকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রাঙ্গা মোল্যা তার ছেলে ও ভাইপোকে দিয়ে খুন করিয়েছে। হত্যাকারী দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে। রাঙ্গা মোল্যাকে আটক করাসহ হামলাকারী অহিদুল ও শাহিনের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
তার স্বামী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি জুতা-স্যান্ডেলের ব্যবসা করতেন বলেও জানান কোহিনুর বেগম।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, ‘রবিউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় অহিদুল ও শাহিন নামে দুই হামলাকারীকে রাতেই আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে এখনো মামলা করেনি। যদি তারা মামলা না করে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করবে।’
মিলন রহমান/এফএ/জেআইএম