অর্থছাড় না হওয়ায় থমকে আছে এক হাজার আসনের অডিটোরিয়াম নির্মাণ

1 hour ago 4

খুলনায় এক হাজার আসনের অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালে শুরু হলেও আর শেষ হয়নি। প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে এখন বাকি কাজ থমকে আছে। প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হওয়ায় কাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছে খুলনা জেলা পরিষদ।

অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলে ১ হাজার আসনের অডিটোরিয়াম ছাড়াও মাঝারি আকারের আরও ৩টি মিলনায়তন হবে। ফলে একসঙ্গে চারটি অনুষ্ঠান করা যাবে। মিলনায়তনগুলো হবে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সাউন্ডপ্রুফ।

খুলনা জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর রূপসা স্ট্যান্ড রোডে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ মার্চ। মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত দুই বছরে কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ দেড় বছর বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

অর্থছাড় না হওয়ায় থমকে আছে এক হাজার আসনের অডিটোরিয়াম নির্মাণ

নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স সহীদ ব্রাদার্স ও স্মার্ট প্রোপার্টিজ (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ কাজের বিল বাবদ ঠিকাদারকে ছয় দফায় পরিশোধ করেছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। আরও প্রায় দেড় কোটি টাকা এসেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিনতলা অডিটোরিয়াম ভবনের গ্যালারির ছাদ বাদে ঢালাইয়ের প্রায় সব কাজ সম্পন্ন। প্রকল্পের চলমান এলাকায় একজন প্রকৌশলী ও কেয়ারটেকার রয়েছেন। কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছেন। তবে এখনও ফিনিশিং ও বৈদ্যুতিকসহ বিভিন্ন কাজ বাকি রয়েছে।

আরও পড়ুন-

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা
ঝিনাইদহে রোপা আমন ক্ষেতে পচন সংক্রমণ, দিশাহারা কৃষক
শ্রীমঙ্গলে শেভরনের কনডেনসেট লাইনে আগুন

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাইট ইনচার্জ আব্দুস সালাম বলেন, একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। আমরা এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করেছি তার বিল এখনো পাইনি। সময়মতো অর্থ ছাড় না পাওয়ায় কাজে গতি আনতে পারছি না।

অর্থছাড় না হওয়ায় থমকে আছে এক হাজার আসনের অডিটোরিয়াম নির্মাণ

তিনি আরও বলেন, আগে রড কিনেছি ৬৫ টাকা কেজি দরে, এখন তা ৯৫ টাকা। বলতে গেলে খরচ শুধু বেড়েই চলেছে। এখানে ২৪ ঘণ্টা দুইজন লোক থাকতে হয়। তাদের খরচ কোম্পানিকে বহন করতে হচ্ছে। কাজ দ্রুত শেষ হলে ব্যয় কমবে এবং অডিটোরিয়ামটি ব্যবহার দ্রুত করতে পারবে।

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০২০ সালে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। আগে ঠিকাদারকে সাড়ে ছয় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বিল ছাড়ের জন্য আরও টাকা এসেছে।

তিনি আরও বলেন, মূলত অর্থ ছাড় না হওয়ায় কাজ থমকে আছে। দ্রুত অর্থ ছাড় হলে জটিলতা কাটিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

এফএ/এমএস

Read Entire Article