অর্ধেকে নেমেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

2 hours ago 2

এক মাসের ব্যবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অর্ধেকে নেমেছে পাথর আমদানি। চাহিদা না থাকায় পাথর আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্থলবন্দরের শতশত শ্রমিক। লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরাও।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী স্থলবন্দর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মো. সাঈদী ইসলাম নামে এক আমদানিকারক বলেন, দেশে চাহিদা না থাকায় পাথর আমদানি করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। তাই পাথর আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সড়ক-মহাসড়ের কাজ কম। এতে যাদের কাছে পাথর বিক্রি করে আসছিলাম। তারা সেভাবে আর পাথর নিতে চাইছে না। এতে বাধ্য হয়েই পাথর আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অর্ধেকে নেমেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

সোবহান আলি নামের স্থলবন্দরের এক শ্রমিক জাগো নিউজকে বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশি পাথরের গাড়ি আসে। কিন্তু কয়েকদিন ধরে গাড়ির সংখ্যা অনেকটা কম। এতে আমরা কর্মহীন হয়ে গেছি। আগে দিনে ৮০০-১০০০ টাকা আয় করতাম কিন্তু তা আর হচ্ছে না। এতে দিনে ৩০০ টাকায় বেশি পাই না।

আলি হোসেন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, স্থলবন্দরের কাজ মনে হয় আর করা হবে না। কারণ আয় নাই, কাজ নেই। এখন অন্য কাজের চিন্তা করছি। গত একমাস ধরে এমন সমস্যা চলছে। আগে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা মজুরি পেতাম। কিন্তু এখন এসে বসে সময় পার করে চলে যাই।

আলি ইকরাম নামে আরেক পাথর আমদানিকারক বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫ ট্রাক পাথর আমদানি করে লোকসান গুণতে হয়েছে। তাই এখন পাথর আমদানি করছি না। ক্রেতাদের চাহিদা বাড়লে ফের পাথর আমদানি করবো।

অর্ধেকে নেমেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি

সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন ইতি বলেন, মাসব্যাপী পাথর আমদানি করে লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা। তাই পাথর আমদানি থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তারা। এর মূল কারণ হচ্ছে পাথরের চাহিদা কমে যাওয়া। সারাদেশে সেভাবে নতুন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে না। অনেক আগের কাজগুলোও বন্ধ রয়েছে। এতে কমেছে পাথরের চাহিদা।

পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, গত এক মাসের ব্যবধানে স্থলবন্দরে পাথর আমদানি কমেছে। এক মাস আগেও স্থলবন্দরে দিনে ২০০টি ভারতীয় পাথরবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করতো। কিন্তু এখন তা ১০০ তে এসে ঠেকেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সোহান মাহমুদ/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article