ফেনীতে এক যুগ আগে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, জেলা জামায়াতের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মাস্টার, এবং ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা।
তবে আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আদেল ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানী রোডে অবস্থিত জামায়াত কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভেঙে আসামিরা ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা গুলি ও বোমা ফাটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। হামলাকারীরা কার্যালয়ের গ্যারেজে থাকা একটি গাড়ি এবং দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও, তারা নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ভাঙচুর করে। অফিসের কাগজপত্র, বইপুস্তক তছনছ করার পর তারা বিভিন্ন কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিষয়ে জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম জানান, ঘটনার পরপরই মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান জানান, আওয়ামী লীগ সারা দেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল এবং তাদের কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/কেএইচকে/এএসএম