সৌদি নারী নির্মাতা শাহাদ আমিনের নতুন চলচ্চিত্র ‘হিজরা’। এ বছরের একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে (অস্কার) আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মনোনীত হয়েছে ছবিটি। মরুভূমির প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই রোড মুভিটি সৌদি নারীদের তিন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আত্ম-অন্বেষণের গল্প তুলে ধরেছে।
শাহাদ আমিনের এটি দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর আগে ২০২০ সালে তার নারীবাদী রূপকধর্মী চলচ্চিত্র ‘স্কেলস’ সৌদির হয়ে অস্কারে প্রতিযোগিতা করেছিল।
‘হিজরা’ ছবির শুটিং হয়েছে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল জেদ্দা, মদিনা, আলউলা ও নিয়োমসহ বিস্তৃত মরুভূমি এলাকায়। সিনেমাটি প্রথম প্রদর্শিত হয় এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘স্পটলাইট’ বিভাগে। সেখানে সিনেমাটি প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শক ও সমালোচকদের।
ছবির গল্প ঘিরে রয়েছে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরী জান্নাকে। সে তার কঠোর স্বভাবের দাদি সিত্তি ও ১৮ বছরের বিদ্রোহী বোন সারাহকে নিয়ে পবিত্র মক্কায় হজ পালনে রওনা হয়। কিন্তু পথেই সারাহ হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন শুরু হয় জান্না ও সিত্তির উদ্বেগভরা অনুসন্ধান ও আত্ম-আবিষ্কারের যাত্রা।
ছবিটিতে সম্পূর্ণ সৌদি অভিনয়শিল্পীদের দেখা যাবে। দাদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন খাইরিয়া নাসমি, জান্নার ভূমিকায় নবাগত লামার ফাদান এবং বিশেষ উপস্থিতিতে আছেন বারা আলেম।
নির্মাতা শাহাদ আমিন বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো অস্কারে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য গভীর গর্বের বিষয়। এটি সৌদি সিনেমার ইতিবাচক রূপান্তরের প্রতিফলনও বটে। ‘হিজরা’ আমার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং প্রজেক্ট ছিল। আমরা দূরবর্তী মরু অঞ্চলে শুটিং করেছি কারণ এই গল্পটি আমাদের ইতিহাসের ভেতর থেকে উঠে আসা এক নারীর কণ্ঠস্বর, যা আমরা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি।’
সৌদি আরবে ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্বে থাকবে সিনওয়েভস। আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশে পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে ফিল্ম ক্লিনিক ইন্ডি ডিস্ট্রিবিউশন। আন্তর্জাতিক বিক্রির দায়িত্বে আছে ইরাকি ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম সেন্টার।
অস্কারের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে নির্বাচিত ১৫টি ছবির সংক্ষিপ্ত তালিকা আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঘোষণা করবে একাডেমি।
এলআইএ/জেআইএম