মো. আব্দুল মুনিম দিবস চট্টগ্রামের সন্তান। পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে। পড়াশোনা শেষে কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল টেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। ক্যারিয়ারে জমিয়েছেন ১২ বছরের বেশি টেক এবং লিডারশিপ অভিজ্ঞতা। বর্তমানে তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অ্যামাজনে (অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস) ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার’ পদে কর্মরত। সম্প্রতি তার আমাজনে চাকরি ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—
জাগো নিউজ: শৈশব ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে বলুন—
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: আমার জন্ম চট্টগ্রামে হলেও বেড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকায়। শৈশবে অনেক কৌতূহলী ছিলাম। তখন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ভেঙে ভেতরে কী আছে দেখতাম! একটু বড় হওয়ার পর সিক্স-সেভেনে উঠে কম্পিউটারের পার্টসের দোকানে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ইচ্ছে ছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে পার্টস কিনে কম্পিউটার সেটাপ তৈরি করা। আমি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। জীবনে অনেক স্ট্রাগল দেখতে হয়েছে। বাবা অনেক দিন বিদেশ ছিলেন ছোট একটা চাকরি নিয়ে। তারপর অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মা পরিবারকে দেখাশোনা করতেন। মা সেলাইয়ের কাজসহ অন্যান্য কাজ করে সংসার চালাতেন। তখন একটু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার ছোট থেকে কম্পিউটারে কাজ করতে ভালো লাগতো। মামার বাসায় কম্পিউটার ছিল। সেই কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস ও এইচটিএমএল বোঝার চেষ্টা করতাম। বিটিভিতে কম্পিউটার বিষয়ক বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেখতাম। বলা যায়, ছোট থেকে কম্পিউটারের প্রতি অনেক ঝোঁক ছিল।
জাগো নিউজ: আপনার পড়াশোনা সম্পর্কে বলুন—
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: আমি এলাকার একটি হাইস্কুল থেকে ২০০৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পাই। সে বছরই বয়সের কারণে নটর ডেমে ঢুকতে না পেরে ঢাকা সিটি কলেজে ভর্তি হই। গোল্ডেন এ প্লাসের জন্য বেতন ফ্রি ছিল বছর খানেক। রেজাল্ট ভালো করলে পরের বছরও তাই। এটি একটি কারণ। এখানে সায়েন্স বিভাগে নিয়ে পড়াশোনা করি। স্যাররা খুবই ভালো ছিলেন। সব বিষয়ের বেসিকগুলো বেশ ভালোভাবে শেখাতেন। আমার জীবনের অন্যতম ভালো সিদ্ধান্তের একটি ছিল এখানে ঢোকা। তখন টিচার নিয়ে পড়ার মতো আর্থিক অবস্থা ছিল না। এলাকার কিছু ভাইয়ের কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতাম। একজনের কাছে ফিজিক্স এবং আরেকজনের কাছে ম্যাথ পড়তাম। তারা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। এ ছাড়া রেজা ও ওয়ালিউল্লাহ স্যারের কাছে ধর্না দিতাম। ফার্স্ট ইয়ারে আমার রেজাল্ট ভালো হয়। তাই সেকেন্ড ইয়ারেও কোনো ফি দিতে হয়নি। সেকেন্ডে ইয়ারে উঠেও স্যারদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। এইচএসসি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন এ প্লাস পেতে সক্ষম হই। এরপর ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। আমার লক্ষ্য ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়বো। কোচিংয়ে ভর্তি হই অ্যাডমিশন টেস্টের প্রিপারেশন নিতে। যে কোনো মূল্যে চান্স পাওয়া লাগতো, প্রাইভেটে পড়ার মতো অবস্থা ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং টেক্সটাইলের ফর্ম কিনি। চান্স পেয়ে যাই প্রত্যেকটাতেই। বুয়েটে ২২৭তম হই। এরপর বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে ভর্তি হই।
জাগো নিউজ: পড়াশোনা অবস্থায় কী ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর থেকে টিউশন শুরু করি। একসময় অনেক টিউশনি করতে হয়। ভর্তি কোচিংও করিয়েছি। চেষ্টা করছিলাম সংসারের ব্যয় পুরোপুরি বহন করার। বাবা স্ট্রোক করে বসেন। অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। কয়েকটা টার্মে রেজাল্ট ভালো করতে পারিনি, পিছিয়ে পড়ি কিছুটা। বুয়েটে কিছু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলাম। প্রোগ্রামিং সাইডে রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভিং নিয়ে কাজ শুরু করি। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড বিভিন্ন হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করতাম যেখানেই সুযোগ পেতাম। একটি পরিপূর্ণ সফটওয়্যার তৈরি হবে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় থাকতাম। এ সুবাদে সিএসই বিভাগে একটি পরিচিতি তৈরি হয়। তখন বেশ কিছু সেশন আয়োজন করি। মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপে আমার টিম নিয়ে দুই বার অংশগ্রহন করি। ইমাজিন কাপ নিয়েও বুয়েটে বেশ কিছু সেশন নেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়। তখন আমাদের একটা জুনিয়র ব্যাচ ইমাজিন কাপে বাংলাদেশ রাউন্ডে ফার্স্ট হয়। বিভিন্ন কাজের সুবাদে সেকেন্ড ইয়ারেই বনানীতে একটা স্টার্টাপ আমাকে রিচ করে। ওখানে জব হয়ে গেলে টিউশনিগুলো কমিয়ে ফেলি। পরিবারকে পুরো সাপোর্ট করতে শুরু করি।
জাগো নিউজ: পড়াশোনা শেষে কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল টেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সেই চাকরির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলবেন?
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: গ্র্যাজুয়েশনের পরও ইন্টারভিউ দেওয়ার পাশাপাশি স্টার্টআপে কাজ চালিয়ে যাই। সেখানে কাজের মাধ্যমে প্রফেশনাল পরিবেশ, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্যাটার্ন ও আর্কিটেকচার নিয়ে হাতেকলমে অভিজ্ঞতা হয়। পাশাপাশি এক কো-ফাউন্ডারের সাথে কাজ করতে গিয়ে ইউআই ডিজাইন, কালার থিওরি, টাইপোগ্রাফি ও ইউজার অভিজ্ঞতা নিয়ে খুব গভীরে বেশ কিছু কাজ করা হয়। ফলশ্রুতিতে গ্র্যাজুয়েশন শেষে নিউজক্রেডে (বর্তমান অপটিমাইজলি) অ্যাসোসিয়েট প্রোডাক্ট ডিজাইনার হিসেবে জয়েন করি। যেখানে ৬ মাস কাজ করার পর বুঝতে পারি, ডিজাইনের দক্ষতা আর প্যাশন থাকলেও প্রাইমারি ক্যারিয়ার হিসেবে আমি ডেভেলপমেন্টেই ফোকাস করতে চাই। নিউজক্রেডে ৫ বছর কাজ করার সময়ই বাইরের সুযোগ খোঁজা শুরু করি। ফলে ২০১৬ সালে প্রেজির জন্য বুদাপেস্টে অনসাইট ইন্টারভিউতে ডাক পাই এবং গুগল জার্মানিতে ভার্চুয়াল লুপ রাউন্ড পর্যন্ত যাই। এ সময়টায় রিজিউমে, গিট প্রোফাইল ও লিংকডইন প্রফেশনালি রিপ্রেসেন্ট করা শিখি।
২০১৭ সালে বাবার মৃত্যুর পর বাইরে যাওয়ার চিন্তা বন্ধ করে দিই। এরই মাঝে লিংকডইনে অ্যাস্ট্রো (মালয়েশিয়ার বৃহত্তম মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি) আমাকে রিচ করে। এখানে ভালো ক্যারিয়ার গ্রোথ, সুযোগ-সুবিধা থাকায় ২০১৮ সালের শেষে মালয়েশিয়ায় চলে আসি। মজার ব্যাপার হলো, এক মাসের মধ্যে ম্যানেজার চলে যাওয়ায় ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার বানান। যেখানে ১৭ জনের টিম লিড করতাম। এভাবে হুট করেই এক রকম লিডারশিপ জার্নি শুরু। বছর খানেক পর অনেক ভালো একটা অফার পেয়ে এয়ারএশিয়াতে টেক লিড হিসেবে যোগ দিই। যার স্কোপ অনেকটা প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারের মতো। যেখানে ছয় মাস পর আমাকে কয়েকটা টিমের ওনারশিপ অ্যাসাইন করে আবার ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার করা হয়। এক বছর পর ৩চি প্রোডাক্ট টিম, সেন্ট্রাল সাইট রিলেবিলিটি ইঞ্জিনিয়ারিং (এসআরই) টিম মিলিয়ে মোট ৩০ জনের দায়িত্ব পাই। পাশাপাশি প্রমোটেড হই সিনিয়র ম্যানেজারে। ২০২১ সালে প্রোপার্টিগুরুতে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে একদম কাস্টমার ফেসিং একটা ছোটখাটো প্রোডাক্ট অর্গানাইজেশন ম্যানেজের দায়িত্ব পাই। সেখানে সাউথইস্ট এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রোপটেক কোম্পানির পুরো কনজিউমার ইঞ্জিনিয়ারিং লিড করেছি। আমি সৌভাগ্যক্রমে বেশ ভালো কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি হ্যান্ডস-অন ইনভল্ভমেন্ট ছিল ভালো রকমের।
আরও পড়ুন
বিদেশে পড়তে যাওয়ার পর যেসব বিষয় জানা জরুরি
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের টিকে থাকার কৌশল
জাগো নিউজ: টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে চাকরি পাওয়ার গল্প শুনতে চাই—
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: লিংকড-ইন আমাকে খুঁজে পাওয়ার পর অ্যামাজনের একজন রিক্রুটার ইমেল করেন। কী ধরনের পদে কাজ করতে আগ্রহী, কী ধরনের কাজ করেছি, টেকনিক্যাল সক্ষমতা কেমন—এসব নিয়ে একটা ফোন স্ক্রিনিং ইন্টারভিউ হয়। এরপর আরেকটি ফোন স্ক্রিনিং ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করি। এরপর লুপ রাউন্ড শুরু হয়, এতে ৬টি ইন্টারভিউ থাকে। বিহেভিয়ারেল, লিডারশীপ, সিস্টেমস ডিজাইন, বার রেইজার—সবগুলো রাউন্ড পার করতে হয়। বার রেইজার রাউন্ড পার করার আগে একটি রিটেন অ্যাসেসমেন্টও দিতে হয়। যেখানে একটি স্ট্রাটেজিক কিন্তু সেমি টেকনিক্যাল প্রবলেমকে কীভাবে মাল্টি ইয়ার প্ল্যানে দাঁড় করাবো, সেটি নিয়ে আমাকে ডকুমেন্ট করতে হয়েছে। বার রেইজার রাউন্ডটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। টেকনিক্যাল আর স্ট্র্যাটেজিক ডিসিশন মেকিং নিয়ে বেশ কিছু আগের কাজ ব্যাখা করতে হয়েছে। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার সাথে আমার প্রায়োরিটি ডিফাইন করার দক্ষতা কেমন, নেগোশিয়েশন স্কিলস—এসব কিছু জাজ করা যাবে এমন কিছু আমাজন লিডারশিপ প্রিন্সিপাল ভিত্তিক সিচুয়েশন শেয়ার করতে হয়েছে। পাশাপাশি রাইটিং অসেসমেন্ট নিয়ে এই রাউন্ডে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। ইন্টারভিউয়ের কয়েকদিন পরেই আমাজন থেকে ডাবলিন অফিসে সিলেক্টের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভালো গ্রোথ স্কোপ আর অফার বিবেচনা করে মালয়েশিয়া থেকে সুদূর আয়ারল্যান্ডে পারি জমাই ২০২৩ সালের শেষে।
জাগো নিউজ: যখন অ্যামাজনে চাকরির অফার লেটার পেয়েছেন; তখন আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: অফার লেটার পাওয়ার পর একদিকে আমি খুশি এবং অন্যদিকে একটু উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি না যাওয়া পর্যন্ত আমার মা কীভাবে একা ঢাকায় থাকবেন এ নিয়ে বেশ টেনশনে ছিলাম। এ ছাড়া আমার ওয়াইফ তখন প্রেগ্যানেন্ট ছিল। সবকিছু মিলিয়ে সিচুয়েশনটা বেশ কঠিন ছিল আমাদের জন্য। তখন আমাজন থেকে ২-৩ সপ্তাহ সময় নেই। কারণ মালয়েশিয়াতে চাকরিতে সবদিক থেকে ভালোই ছিলাম। তারপর লং টার্ম সেটেলমেন্টের কথা চিন্তা করে আর ক্যারিয়ারের ওপর জোর দিয়ে অ্যামাজনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিই।
জাগো নিউজ: অ্যামাজনে চাকরি করার অভিজ্ঞতা শুনতে চাই—
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: আমি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের নেটওয়ার্কিং অর্গানাইজেশনের আন্ডারে অবসারভাবিলিটি সাব অর্গানাইজেশনে আছি। আমার টিমের সিস্টেমগুলো ২৪ ঘণ্টা অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক মনিটর অ্যান্ড অ্যালার্মিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। আমরা যেসব অ্যালার্ম সিগন্যাল প্রোডিউস করি সেগুলো অটোমেশন সিস্টেম ইউজ করে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের গ্লোবাল নেটওয়ার্ককে সচল রাখে। আমাদের সিস্টেমগুলো বিলিয়নস ডাটা প্রতি মিনিটে প্রসেস করে। বছরে ৫ মিনিটের বেশি সিস্টেমগুলো ডাউন থাকতে পারে না (৯৯.৯৯৯% আপ টাইম)। একই সাথে ম্যানেজার হিসেবে টিমের রোডম্যাপ নির্ধারণ, রিসোর্স প্ল্যানিং, ক্যারিয়ার প্রোগ্রেশন, হায়ারিং, কস্ট প্ল্যানিং, লং টার্ম স্ট্রাটেজি সাথে মাল্টি টিম এক্সপ্যান্ডিং অনেক রকম ডিসিশন মেকিংয়ে থাকতে হয়। ওভারঅল এক্সপেকটেশন ও রেসপনসিবিলিটি একটু বেশি—কাজের ব্যাপ্তিও অনেক ওয়াইড অ্যান্ড গ্লোবাল। রোলটা ম্যানেজার অফ ম্যানেজারস—এ বছরের মধ্যে বা আগামী বছর নাগাদ আরও একটি বা দুইটি টিম পাওয়ার কথা। সব কিছু মিলিয়ে মাঝে মাঝে একটু স্ট্রেসফুল হয়ে যায়, কিন্তু ভালো আছি।
জাগো নিউজ: অ্যামাজনে কর্মীদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়?
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: গুগল বা মেটার মতো ফ্রি ফুড অ্যামাজনে নেই। তবে বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধাগুলো যেমন- বোনাস, রেলোকেশন প্রসেস (স্থানান্তর), রেলোকেশন অ্যামাউন্ট বেশ ভালো। ভালো অ্যামাউন্টের স্টক দেওয়া হয়। তবে এগুলো পজিশন এবং নেগোশিয়েশনের ওপরও অনেক সময় নির্ভর করে। শেখার এবং উন্নতি করার জন্য অনেক ধরনের সাপোর্ট প্রোগ্রাম ও পেইড লার্নিং প্লাটফর্ম আছে। আনলিমিটেড এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য প্রচুর অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস রিসোর্স আছে। হেলথ ইন্স্যুরেন্স, আমাজন ওয়েবসাইটে ডিসকাউন্ট—এরকম কিছু বেসিক সুবিধা আছে। তবে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা জব লোকেশনের ভিত্তিতে কম-বেশি হয়ে থাকে।
জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. আব্দুল মুনিম দিবস: আমি ৭ বছর হলো লিডারশিপে আছি। ৩ বছরের কাছাকাছি অভিজ্ঞতা হয়েছে ম্যানেজার অব ম্যানেজারস হওয়ার। এখন ছোটখাটো একটা অর্গানাইজেশন চালিয়ে নিতে পারবো এ বিশ্বাস আছে। পুরোপুরি টেকনিক্যালি সম্পৃক্ত ছিলাম লিডারশিপ জার্নিতে। তাই লিডারশিপ আর টেকনোলজিক্যাল এক্সপার্টিস দুই দিকেই উন্নতি হয়েছে। আপাতত কিছু বছর অ্যামাজনে উন্নতি করতে চাই। আল্লাহ যদি অন্য কোনো প্ল্যান না রেখে থাকেন। এখানে ম্যানেজমেন্ট বেশ গোছানো আর অনেক কিছু শেখার আছে। বেশ বড় স্কেলের দায়িত্ব। এখানে কিছু ধাপ ওঠার চেষ্টা করবো। এরপর উপযুক্ত কোনো কোম্পানিতে একদম ওপরের সারির লিডারশিপে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। পাশাপাশি নিজের কিছু করারও ইচ্ছে আছে—কিছু আইডিয়া নিয়ে আগাচ্ছি। দেখা যাক!
এসইউ/