আ.লীগ নেতার গান শুনে হাসিনা বললেন ‘টিকটকে ছড়িয়ে দাও’

2 hours ago 4

‘আয়রে আয় ও দেশবাসী, শেখ হাসিনার সৈনিক থাকিস না আর ঘরে বসি’ শিরোনামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গান শুনিয়ে এলাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের এক নেতা। এদিকে শেখ হাসিনা এই গানটি শোনার পর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এবং গানটি রেকর্ড করে টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এমন একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

পলাতক ওই নেতা ফোরকান ফরাজী তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ফরাজীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের লাউপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

এদিকে ওই ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ফোরকান ফরাজী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। দ্রুত ফোরকানকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তালতলী উপজেলা বিএনপি। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ওই ফোনালাপে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোরকান সালাম দিয়েই বলেন, ‘আমি সোনাকাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলাম। আপা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি গান রচনা করেছি। ওই গানের সুর ও ছন্দে যদি ভুল হয় আপনি মার্জনার চোখে দেখবেন আপা। তালতলী উপজেলা আপনার নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনী এলাকা তালতলী উপজেলা থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনার জন্য দোয়া করি। আপনার ডাকের জন্য তালতলী উপজেলাবাসী প্রস্তুত আছে। আপনার সঙ্গে আমাকে কথা বলতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এডমিন ভাইকে আমার অন্তরস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপা আপনার জন্য একটি গান রচনা করেছি।’ পরে শেখ হাসিনা তাকে গান গাইতে নির্দেশ দেন। 

ফোরকান তার কণ্ঠে গানটি শেখ হাসিনাকে শোনান। ‘আয়রে আয় ও দেশবাসী শেখ হাসিনার সৈনিক থাকিস না আর ঘরে বসি। আয়রে আয় শেখ হাসিনার সৈনিক। রোধে পুড়ে ফসল ফলায় গরিব চাষি মজুরে, সাততলার উপরে থেকে ইউনূসের গোলা যায় ভরে। ইউনূসের গোলা যায় ভরে। ওরে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিয়ে দিলাম ইউনূসের। হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে আমরা মরি অনাহারে। আয়রে আয় শেখ হাসিনার সৈনিক ও দেশবাসী থাকিস না আর ঘরে বসি। আয়রে আয় শেখ হাসিনার সৈনিক। হাসপাতালে গিয়ে দেখি একি আজব কারখানা। শোষকেরই ভালো ওষুধ আরও ভালো বিছানা।’ 

গানের শেষে শেখ হাসিনা বলেন বাহ চমৎকার। পরে তিনি ফোরকানকে বলেন, ‘ইউনূস সাত তলায় নয় থাকে ১৬ তলায় থাকেন।’ এছাড়াও শেখ হাসিনা গানটি টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেন।

এদিকে ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই ফোরকানের বাড়িতে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খুঁজতে থাকে। কিন্তু ফোরকান বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে লাউপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে। 

তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহীদুল হক বলেন, ফোরকান ফরাজীর এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।

তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ফোনালাপ শুনেই ফোনকারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

Read Entire Article