আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রলোভনে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতারিত করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বনানী থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- পান্না পুনম হাওলাদার ওরফে কেয়া (২৬) ও মো. মামুন খান (৩৭)।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গতকাল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বনানী থানার অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময়, গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত নগদ ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বনানী থানার বরাতে তালেবুর রহমান বলেন, ভিকটিম মো.নাদিত হাসান রকি কুইন গ্লোবাল কনসালট্যান্ট অ্যান্ড আইইএলটিএস প্রতিষ্ঠানে কোচিং করতো। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসামিরা তার এবং অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইইএলটিএস পরীক্ষায় পাস করার জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে ভিকটিম আসামিদের কথায় বিশ্বাস করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, আসামিরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকার অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স নামক আবাসিক হোটেলে ভিকটিম হাসান রকি তার বন্ধু তাবিবুল ইসলামসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা আসামিদের সামনে উপস্থিত হন এবং টাকা দেন। রাতে আসামিরা কয়েকটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ভিকটিম দেখতে পান যে, আসামিদের দেওয়া উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের মিল রয়েছে। পরীক্ষা শেষে হোটেলে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা তা অস্বীকার করেন এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।
মামলার পর বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ, নিবিড় তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার রাতে বনানী থানার অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
কেআর/এএমএ/জেআইএম