সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান ভূঁইয়া ও তার পরিবার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর, মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট এবং বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগের মামলায় দুই তরুণীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া দুইজন হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইলমা জাহানারা (২৩) ও বেনজীর আনজুম চাঁদনী (৩২)।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জসীম উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ফারান আরাফ। অপরদিকে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান খান ও আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ জুলাই ব্যারিস্টার আহসান ভূঁইয়া, তার স্ত্রী, নবজাতক সন্তান ও তার মা-বোনকে জড়িয়ে মামাতো শ্যালিকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইলমা জাহানারা (২৩) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মানহানিকর পোস্ট ও মন্তব্য করেন এবং অন্যদের দিয়ে পোস্ট ও মন্তব্য করিয়ে তা ভাইরাল করেন। অপর আসামি চাঁদনীসহ ওই আইনজীবীর বিয়ে ভাঙার পরিকল্পনা করে আসামিদের কথোপকথনের অডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়াচ্ছেন। এতে আহসান ভূঁইয়ার মানহানি হয়েছে মর্মে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন। আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন দেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আহসান ভূঁইয়ার আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, বাদীর স্ত্রীর সঙ্গে তার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর পোস্ট ও মন্তব্য করেন। তার মা, বোন ও নবজাতক সন্তানকে নিয়ে মানহানি করার উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর মন্তব্য করে যা নিয়ে বাদী কর্মক্ষেত্র ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে আসামিদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামিরা পোস্ট করেছেন তা সত্যি। কিন্তু আসামিরা মাইনর (অপ্রাপ্তবয়স্ক)। এতে বাদী ক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছেন। আদালত দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন।
এমএমএআর/জিকেএস