ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে কলেজপর্যায়ের আইসিটি প্রভাষক পদে নিয়ম মেনে আবেদন করেও নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছেন দুই শতাধিক চাকরিপ্রার্থী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনাবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে তাদের নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে যোগদানের সুযোগ না দিলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কলেজ ক্যাটাগরিতে প্রভাষক পদে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিবন্ধন সনদও পেয়েছেন। এরপর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়ম মেনে আবেদন করলেও তাদের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কেন এমনটা করা হয়েছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দেয়নি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ, একই কোড (৪৫২), একই পরীক্ষা, একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কলেজ ও মাদরাসা প্রার্থীদের আলাদা করে দেখা হয়েছে, যা অন্যায় ও বৈষম্যমূলক। ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- কলেজ প্রার্থীরা ৪০টি কলেজ চয়েজ দেওয়ার পাশাপাশি ‘আদারস’ অপশনে ‘ইয়েস’ নির্বাচন করে মাদরাসাকে দ্বিতীয় প্রেফারেন্স হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফলে তাদের কাউকে মাদরাসায় সুপারিশ দেওয়া হয়নি। যদিও বর্তমানে মাদরাসায় ১ হাজার ২৫০টিরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রার্থীরা এনটিআরসিএ’র উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রশ্ন রাখেন। সেগুলো হলো- একই কোড, একই প্রশ্নপত্র, একই যোগ্যতা থাকার পরও কেন কলেজ ও মাদরাসাকে আলাদা করা হলো; কেন শূন্যপদ প্রকাশের সময় গোপন রাখা হলো; ফলাফল কম্বাইন্ডভাবে প্রকাশ করা হলেও সুপারিশ আলাদা করে কেন করা হলো এবং মাদরাসার শিক্ষক সংকট দূর করার কথা বলা হলেও কলেজ প্রার্থীদের কেন সে শূন্যপদে সুপারিশ করা হলো না?
একই সঙ্গে তারা কিছু দাবি তুলে ধরেন। সুপারিশবঞ্চিতরা বলেন, কলেজ প্রার্থীদের মাদরাসার শূন্যপদে অবিলম্বে সুপারিশ দিতে হবে। অথবা এনটিআরসিএকে সঠিক ব্যাখ্যা প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে এবং শূন্যপদ গোপন করার দায়ে এনটিআরসিএকে জবাবদিহি করতে হবে। ভবিষ্যতে অস্পষ্ট শর্তাবলি বন্ধ করতে হবে। নিয়োগের পর এমপিও জটিলতা পরিহার করতে হবে।
প্রার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ ধরনের প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না। আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এএএইচ/এমআরএম/এমএস