গুম, খুন ও ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে লুটপাট, অর্থপাচারসহ আকুণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনেও নেই অনুশোচনা। ভুল শুধরে রাজনীতিতে ফেরার প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে তারা এখনও দাবি করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ষড়যন্ত্র করে তাদের উৎখাত করা হয়েছে। তারা পুরোনো মসনদ ফিরে পেতে চায়। অথচ আওয়ামী লীগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি নিয়ে রাজনীতি করছে। ভয়ংকর পতনের তিন মাস পেরুলেও কর্মসূচি ঘোষণা করছেন দেশ ছাড়া নেতারা। বঞ্চিত গুটিকয়েক কর্মীও তাদের নির্দেশনা অনুসারে বেছে নিচ্ছেন ‘আত্মঘাতী’ পথ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনরোষের মধ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করে কিছু কর্মীকে বিপথে ঠেলে দিয়ে আওয়ামী লীগ মূলত চায়, কিছু লাশ পড়ুক। আর এই লাশের ওপর ভর করে তারা সরকারকে বিব্রত করে নিজেদের ফেরার পথ খুঁজছে। এতে দলটি আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে। আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বরং ক্ষমা চেয়ে ভুল শুধরে মাঠে আসা উচিত তাদের।
- আরও পড়ুন
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত - হাসিনার আমলে গুম ২০০ লোকের খোঁজ মেলেনি: তদন্ত কমিশন
- শেখ হাসিনার কথিত অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী গ্রেফতার
- আবারো শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার নির্দেশ
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সুনসান নীরবতা, আসে না কেউ
তবে এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোনো কোনো নেতা বলছেন, ‘আমাদের এখন চুপ থাকাই বেটার। এক সময় মানুষ নিজ থেকেই বলবে, আওয়ামী লীগ কথা বলুক।’ কোনো কোনো নেতা চাইছেন, ‘মাঠ গরম থাকুক। চুপ থাকলে হারিয়ে যাবে। বরং এই সরকারকে সমর্থন দিয়ে তাদের কাজের সমালোচনা করে এবং কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকতে হবে। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হবে আওয়ামী লীগের ফেরার পথ।’
- আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা কোথায়, জানতে চাইলেন ট্রাইব্যুনাল - শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ ফোনালাপ ফাঁস
- চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, দুজন গ্রেফতার
- ১৪ নেতাকর্মী নিয়ে ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগের মিছিল
- হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মতো নির্যাতন চালিয়েছেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন পরিকল্পনা ও কর্মসূচির আলোকে গুটিকয়েক কর্মী মাঠে নামলেও অধিকাংশই আত্মগোপনে। তারা বলছেন, ২০-২৫ বা কেউ ৩০ বছর রাজনীতি করেছেন। তারা মাঠে শ্রম দিয়েছেন। আর শেখ পরিবারের সদস্যসহ গুটিকয়েক নেতা ক্ষমতার ক্রিম খেয়েছেন। এখন তো সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। এক সময় রাজনীতি করেছেন, পিছুটান ছিল না। আবেগ-মোহ কাজ করেছে। এখন পিছুটান আছে, বউ-বাচ্চা আছে। তারা মরলে পরিবারের সদস্যদের কে দেখবে? তাদের লাশ নিয়ে যারা রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসবে, সেই নেতাদের কি সময় হবে তাদের পরিবার দেখার?
‘সহসাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে না। ওয়ান/ইলেভেনের মতো ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালানোরও প্রয়োজনীয়তা নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশে যে কোনো জায়গা থেকেই দল পরিচালনা করা সম্ভব। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার বিকল্প তৈরি হয়নি। তার প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যায়নি।’- আওয়ামী লীগের মন্ত্রিপরিষদের সাবেক এক সদস্য
দলীয় নেতৃত্বে আসছে না পরিবর্তন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ভয়ংকর পতনের পর থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কেউ দলটির পক্ষ থেকে কথা বলেননি। এমনকি, এখনও সরাসরি বক্তব্য আসেনি- কীভাবে কোন প্রেক্ষাপটে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের পক্ষে নানাজন নানান সময়ে বিবৃতি দিলেও সেটি অফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় আসেনি। ৫ আগস্ট থেকে এখনও আওয়ামী লীগের মেইল থেকে কোনো মেইল আসেনি গণমাধ্যমে। অথচ প্রতিদিন সেটি থেকে একাধিক মেইল আসতো।
ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে এবারও দলটিতে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব আসছে বলে গুঞ্জন এসেছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব ঘোষণাও করে ফেলেছে কেউ কেউ। তবে এটি উড়িয়ে দিয়েছেন নেতারা। তারা বলছেন, ঘটনাটি সত্য নয়। কিন্তু নেতাদের এই বক্তব্যেরও সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
- আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা নিজেকে অনেক কিছু ভাবতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন - মিছিলের সময় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- মমেকে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
- গুলিস্তানে ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে আরও ২ যুবককে গণপিটুনি
- আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা, ডিম নিক্ষেপ
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সাবেক এক সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘সহসাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে না। ওয়ান/ইলেভেনের মতো ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালানোরও প্রয়োজনীয়তা নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশে যে কোনো জায়গা থেকেই দল পরিচালনা করা সম্ভব। আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার বিকল্প তৈরি হয়নি। তার প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যায়নি।’
‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছেন। জীবন দিয়ে তাকে ক্ষমতায় এনেছেন। আবারও আনবেন।’-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা
পালন করতে না পারলেও থাকবে নিয়মিত কর্মসূচি
শহীদ নূর হোসেন দিবসসহ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কর্মসূচি দিয়ে পালন করেনি আওয়ামী লীগ। গুটিকয়েক কর্মী কর্মসূচিতে এসে বেকায়দায় পড়লেও কোনো নেতাকে আসতে দেখা যায়নি। এমনকি কর্মসূচির ঘোষকও ছিলেন না। বরং দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিসহ কর্মসূচি পালনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঢাকায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গণপিটুনিরও শিকার হয়েছেন কয়েকজন।
অব্যাহতভাবে ভোটাধিকার হরণ ও আকুণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকার কারণে গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়ার পর এই মুহূর্তে কর্মসূচি দেওয়া উচিত কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় ও দলীয় দিবসে কর্মসূচি থাকবে। করতে দেবে কি দেবে না, এটা পরের বিষয়।’
- আরও পড়ুন
হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ - পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে পুলিশে হস্তান্তর
- ভারতে বসে শেখ হাসিনার বিবৃতি পছন্দ করছে না সরকার
- ভারতে শেখ হাসিনার ১০০ দিন, কীভাবে রয়েছেন-সামনেই বা কী?
- হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর
এতে তো নেতারা আসছেন না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিরীহ কর্মীরা, বিবেচনায় নিচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়ে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছেন। জীবন দিয়ে তাকে ক্ষমতায় এনেছেন। আবারও আনবেন।’
‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু কোটা ইস্যু ধরে সেটি যে এতদূর গড়াতে পারে, ওইটা আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীগুলোও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
‘বক্তব্য বিবৃতির চেয়ে চুপ থাকা বেটার’
তবে নেতাদের কথন ও বিবৃতি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সাবেক এক সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘চুপচাপ থাকাই আওয়ামী লীগের জন্য কাজের। কথা না বলাই বেটার। মানুষই এক সময় চাইবে, আওয়ামী লীগ কথা বলুক। মানুষের কথা তো কেউ বলে না। বিএনপি যা বলছে, নির্বাচন নিয়ে বলে। তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।’
- আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা বাস্তবে সম্ভব নয় - আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে যে শর্ত দিলেন সোহেল তাজ
- বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানোর কারণ জানালেন মাহফুজ
- ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না: সারজিস আলম
- প্লিজ ১ মিনিট হলেও রাস্তায় নামেন, দেখা করি-কথা বলি
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের চাওয়া কী? জবাবে দলটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অন্তত ছয় মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর করণীয় নিয়ে ভাববো।’
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি কর্মীদের মধ্যেও আছে মিশ্র মত। কেউ বলছেন, নেতারা আত্মগোপনে। কর্মীরা কেন মাঠে নেমে জীবন বিপন্ন করবে? বরং ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিল, অন্তত ১৬ মাস নীরব থাকুক। আবার কেউ বলছেন, এখনই এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মূলত দ্বিতীয় এ পক্ষটি মনেই করে না, আওয়ামী লীগের কোনো ভুল ছিল। যার কারণে পতন হয়েছে। বরং তারা মনে করে, ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন
ট্রাম্পকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ফেরার চেষ্টা করছে: খসরু - জয় বাংলা বলে স্লোগান, গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
- জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ভেবে হামলার ঘটনায় তদন্ত দাবি অ্যামনেস্টির
- স্বার্থপরের মতো পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী
- আওয়ামী লীগের ১২ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘এটা (গণঅভ্যুত্থান) যে একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল, ইউনূস সরকারের কথাবার্তা ও কাজ-কর্মে সেটি ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিজেও সে কথা স্বীকার করেছেন।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু কোটা ইস্যু ধরে সেটি যে এতদূর গড়াতে পারে, ওইটা আমরা কেউই ভাবতেই পারিনি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীগুলোও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
‘আমাদের ধারণা ছিল এ ধরনের রেজিম পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, নিহত-আহত হওয়ার ঘটনা ঘটবে। রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সেই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি।’- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী
যেকোনো ধরনের অ্যাগ্রেসিভ মুভমেন্ট ক্ষতিকর হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত ছিলেন না। এই কারণে তারা এক ধরনের শকড হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে এখন প্রয়োজন এটিকে (শকড) অ্যাবজর্ব করা (মানিয়ে নেওয়া)। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের অ্যাগ্রেসিভ মুভমেন্ট তাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য ক্ষতিকর হবে। তাদের এখন উচিত, মোটামুটিভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করার জন্য অন্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জায়গাটি নিশ্চিত করা।’
- আরও পড়ুন
পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে না চললে আ’লীগের মতো ছিটকে পড়তে হবে - শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে: খোকন
- জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন
- হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিঠি
- হাসিনাকে উৎখাত করেছি, আপনারা কোন হনু: হাসনাত
‘আমাদের ধারণা ছিল এ ধরনের রেজিম পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, নিহত-আহত হওয়ার ঘটনা ঘটবে। রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সেই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি। এমনকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা এলে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করেছে। ফলে কিছুটা হলেও আমরা ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছি। ভবিষ্যতের রাজনীতিতেও যেনো এটা চলমান থাকে।’
- আরও পড়ুন
আ’লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ - ‘শেখ হাসিনা বুদ্ধিমান বলেই পালিয়ে গেছেন’
- দেশের সব খুন-গুম-আয়নাঘরের দায় শেখ হাসিনার: নিহত ত্বকীর বাবা
- ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চান হাসিনা: মেজর হাফিজ
- আ’লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘সম্প্রতি, আমরা দেখেছি বিগত প্রধানমন্ত্রীর কিছু অডিও মাঠে ছড়াচ্ছে। এটার প্রভাব মাঠে পড়ে। তবে, নেতাকর্মীদের বাস্তবতা মেনে নেওয়াই সমীচীন হবে। তারা ধীরে ধীরে মাঠ গোছানোর পাশাপাশি নিজেদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গোছানোর দিকে যদি বেশি মনোনিবেশ করেন এবং কিছুটা ব্যালেন্সের পরিবেশে রাজনীতি করার চেষ্টা করেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের বড় সম্ভাবনা থাকবে। কোনো ধরনের হানাহানি বা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা ঠিক হবে না।’
এসইউজে/এমএমএআর/জেআইএম