আওয়ামী লীগের নেতারা লুকিয়ে যেন ভোটে দাঁড়াতে না পারেন

2 months ago 6

আওয়ামী লীগের নেতারা লুকিয়ে যেন ভোটে না দাঁড়াতে পারেন, সে বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে প্রস্তাব করেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

তিনি বলেন, নিবন্ধন স্থগিত থাকা দলের কোনো সদস্যের ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টা যেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। নাম লুকিয়ে যেন সেই দলের কোনো নেতা ভোটে না আসতে পারেন।

সোমবার (৭ জুলাই) সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবির কথা জানান। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ চান এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

এক প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন যখন বলছি তখন আওয়ামী লীগের কথা বলছি। সেই কেন্দ্র, জেলা বা উপজেলা কমিটিতেও যারা পদে ছিলেন, এমন নেতাদের কথা আমরা বলেছি, যেন তাদের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়।

ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ চেয়েছি। নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করতে বলেছি। পিভিসি পোস্টার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে এমন দলের নেতারা যেন ভোটে দাঁড়াতে না পারে ইসি যেন সেই ব্যবস্থা নেয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন ২৫ লাখ টাকা ব্যয়সীমা করা হয়েছিল, সেই বাজারদর আর এখন নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তারওপর পোস্টার তুলে দিতে চাচ্ছে। তাই ব্যয়সীমা বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কেউ আইনে ঊর্ধ্বে না। যখন আইন পাস হয়, তখন সেটার স্পিরিট মানতে হবে। নিবন্ধন স্থগিতাদেশ যদি না ওঠে তাহলে তারা ভোটে অংশ নিতে পারবে না।

এনডিএম প্রধান বলেন, ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে বলেছি, ফেব্রুয়ারিকে ধরে যেন ইসির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারিখ নিয়ে আলোচনা হলে তা জানানো। তবে সিইসি বলেছেন, কোনো নির্দেশনা সরকারের তরফ থেকে আসেনি। তারা জুনের মধ্যে ভোটে৷র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি বলেন, কখন নির্বাচন হবে তা যদি সিইসি পরিষ্কার করে জানান তবে জনগণেন ধারণা পরিষ্কার হবে।

এমওএস/বিএ/জেআইএম

Read Entire Article