আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

3 weeks ago 7
ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। একটি কূটনৈতিক মিশন আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সুরক্ষিত। সেখানে এ ধরনের হামলা কেবল আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য হুমকি নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ঘটনা কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করবে না, বরং উগ্রবাদ ও সহিংসতার বিস্তারকেও উৎসাহিত করবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত এবং মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবার প্রতি ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সচেতন থাকার আহ্বান জানায়। উল্লেখ্য, আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’ এ হামলা চালায়। ভারতের আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার (০২ ডিসেম্বর) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভটি সার্কিট হাউসের মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কের্যের সামনে পৌঁছলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে তারা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশ করে। ঘটনার পরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায়। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরান কুমার এবং ডিজিপি অনুরাগ ধানকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিক্ষোভ চলাকালে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।
Read Entire Article