নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষে আগামী জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে লায়ন ফারুক এ আহ্বান জানান। দেশবিরোধী অপতৎপরতা, সাবেক কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১২ দলীয় জোটের এই অন্যতম শীর্ষনেতা বলেন, আগামী জুন মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। গত ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর দেশে লড়াই-সংগ্রাম হয়েছে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে এবং দেশকে স্থিতিশীল করতে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই সরকারের পক্ষে সব সংস্কার সম্ভব নয়। নির্বাচনমুখী সংস্কার এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচিত পরবর্তী সরকার বাকি সংস্কার কাজগুলোকে এগিয়ে নিবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখায় রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।
ফারুক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা এখনো বহাল রয়েছে। অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সচিবালয়ে আগুনের সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা জড়িত থাকতে পারে। পতিত আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে এখন ষড়যন্ত্র, ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ইমরুল কায়েস, লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম ও কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ।