আগামী নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমানের সতর্কতা
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। সামনের নির্বাচন কিন্তু এত সহজ নয়। জনগণই আমাদের শক্তি। আমরা যদি ভুল করি, তখন জনগণ আবার দেখিয়ে দেবে। তখন আমার আপনার পস্তাতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।’
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে এ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন মতবাদ আছে, আদর্শ আছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে একটি ব্যাপারে আমাদের সবাইকে এক জায়গা আসা উচিত౼দেশের নিয়ম, আইনকানুন ও সংবিধান যে সময়টি বেঁধে দেবে, সে সময় পরে অবশ্যই রাষ্ট্রের বা সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে ভোট হতে হবে। ভোটের অধিকার একমাত্র জবাবদিহি তৈরি করতে পারে। রাষ্ট্রের ও সমাজের সব জায়গা যদি আমরা জবাবদিহি তৈরি করতে পারি, তাহলেই ধীরে ধীরে আমরা এগোতে সক্ষম হব। সরকার যদি প্রতিটি কাজের জন্য জনগণকে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে, তাহলেই আস্তে আস্তে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।’
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেখানে সব রকম সুবিধা ও নিরাপত্তা জনগণ ভোগ করবে। একটি জায়গায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের পর আইন মেনে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করা গেলেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
এ সময় জিয়াউর রহমান যেভাবে মানুষের কাছে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন, প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তেমনিভাবে নিজেকে গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সরকার গঠন করার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তিনি।
কোনো কারণে যদি অন্য কেউ সরকার গঠন করে, সেটা কি দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ সরকার গঠন করলে দেশ ও জাতির জন্য ভালো হবে না, তাই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় আছে। মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গড়ে তুলেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধরে রাখতে হলে সতর্ক থাকতে হবে।’
দেশে ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন মামলা আছে জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘শুধু জুলাই-আগস্ট আন্দোলনেই প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। শত-হাজারের মতো নেতাকর্মী জখম হয়েছেন।’ যারা বিগত সময়ে নির্যাতন করেছে, তাদের সুবিধা দিতে বিএনপি লড়াই করেনি, তাদের কাছে ভিড় করতে দেওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।