কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় ও ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৭ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাশার।
ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন খাঁন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রইস উদ্দিন, পৌর ২নং ওয়ার্ড আওযামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, যুবলীগ সভাপতি বাবুল মিয়া, পৌর আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মনির হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হেসেন দিলু, ১০ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলী, শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাহারুল আলম বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন মিয়া, জাকির ভূইয়া, তোফাজ্জল হোসেন, মোছা মিয়া, সানাউল্লাহ নূরি ও মাহাবুবুর রহমান ভুলাসহ ১৭ জন নেতাকর্মী।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলায় আহত মামুন মিয়া, বিএনপির নেতা রুবেল মিয়া ও আলম সরকার বাদী হয়ে ভৈরব থানা ও আদালতে পৃথক ৩টি মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযানে ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ১৭ জন আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬টায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৭ জনের মধ্যে ৪ জনের নামে দুইটি ও ৫ জনের নামে তিনটি করে মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাশার বলেন, সকালে ৩ মামলায় ১৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।