আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে মুখ খুললেন ব্রিটিশ কর্মকর্তা

10 hours ago 4

আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালনকালে তালেবান সন্দেহে শিশুসহ যে কাউকে হত্যার অনুমতি ছিল বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তারা। এই তথ্য উঠে এসেছে আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তে, যা সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে।

কী উঠে এসেছে তদন্তে? 

বুধবার (৮ জানুয়ারি) আফগানিস্তানসংক্রান্ত তদন্ত কমিটি স্পেশাল ফোর্স কর্মকর্তাদের ৭টি গোপন শুনানির বিবরণ প্রকাশ করে। ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সেসের দুটি শাখা—স্পেশাল এয়ার সার্ভিস (এসএএস) ও স্পেশাল বোট সার্ভিস (এসবিএস)—তালেবান-বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড নিয়েই মূলত এই তদন্ত।

তদন্তে এসএএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছেন এসবিএস কর্মকর্তারা। অভিযোগে বলা হয়, এসএএস সদস্যরা নিয়মিত অভিযানে কতজনকে হত্যা করেছেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতেন।

শিশুদের হত্যার অভিযোগ  

এক এসবিএস কর্মকর্তা জানান, এসএএস সদস্যরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এমনকি ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এক গোপন শুনানিতে বালিশ দিয়ে মুখ ঢেকে এক আফগানকে হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন এক এসএএস সদস্য।

এসব কর্মকর্তাদের ইমেইলে আফগানিস্তানে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং সেগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আফগান বাহিনীর ক্ষোভ 

এসএএসের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান বাহিনী তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে। ২০১১ সালের একটি বৈঠকে এক আফগান কর্মকর্তা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে পিস্তল নিয়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করেন।

শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের স্পেশাল ফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দুপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা পুনরায় চালু হয়। তবে এসব ঘটনা স্পেশাল ফোর্সের নীতিগত এবং মানবিক প্রশ্নগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই প্রতিবেদন ব্রিটিশ স্পেশাল ফোর্সের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

Read Entire Article