বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমরা গাছ কাটি, আবার গাছ রোপণও করি। যে গাছগুলো পরিপক্ব হয়ে যায়, সেগুলো না কাটলে কখনো কখনো উন্নয়ন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। তখন বাধ্য হয়ে সেগুলো কাটতে হয়। তবে ফলজ, বনজসহ সব ধরনের নতুন গাছও রোপণ করি।’
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুটি পলাশ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে পরিচালিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমলকী, কৃষ্ণচূড়া-রাধাচূড়া কিংবা কিছু নির্দিষ্ট গাছ না লাগিয়ে আমাদের দেশি-বিদেশি যেসব ভ্যারাইটি আছে, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কোন প্রজাতির গাছের আয়ু বেশি, কোনটি পরিবেশের জন্য বেশি উপকারি, কোনটির ক্ষতিকর দিক আছে কি না—এসব নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। আমাদের ক্যাম্পাসে কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে, সেখানে আর কোন প্রজাতির গাছ লাগানো হলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশ, জলবায়ু, সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের জন্য ভালো হবে—এ বিষয়গুলোও যেন আমাদের গবেষণার অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী, বাকৃবির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও পূবালী ব্যাংক বাকৃবি শাখার কর্মকর্তারা।
পূবালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের মোট ৯ স্থানে তিন লাখ ৮৫ হাজার ৩৫৫ টাকার ১৯ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হবে।
পূবালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আলী বলেন, পূবালী ব্যাংক সবসময় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাকৃবি ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আসিফ ইকবাল/এএইচ/জিকেএস