‘আমাকে বাজেভাবে ফ্রেমিং করা হচ্ছে’— জবি শিক্ষার্থীর অভিযোগ

7 hours ago 5

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিনের এক ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমাতুজ্জোহরা ইমু। তার অভিযোগ, তাকে নিয়ে ছাত্রদল বাজেভাবে ফ্রেমিং করছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সামসুল আরেফিন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন -‘জকসুতে কাকে ভোট দেবেন এটি আপনার সিদ্ধান্ত, তবে ভোট দিন। আনন্দ, উৎসবে এবং দায়িত্বশীলতায় আপনার প্রতিনিধি বেছে নিন।’

এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফাতিমাতুজ্জোহরা ইমু মন্তব্য করেন, ‘কালকে সারাদিন আমার হলের মেয়েরা আমাকে খাইয়ে দিছে, খেয়াল রাখছে আর সবাই মিলে হাসছে মিথ্যাচারগুলো দেখে। এখন আর ওইদিন নাই যে কালো কে মানুষ কালো বুঝে না। নারীদের প্রতি কার কেমন মনোভাব এটা সবার জানা উচিত। আপনাদের পোস্টেড নেতা নিশ্চয়ই আপনার টাইমলাইনে থাকে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোনকে নিয়ে এভাবে নোংরামি করে, আপনারা সারাদিন চেয়ে দেখলেন যাস্ট। মেয়েরা অবশ্যই ভোট দেওয়ার বেলায় ভাববে।’

এর জবাবে সামসুল আরেফিন মন্তব্যে লেখেন, ‘আপনি আমার কমেন্ট হয়তো দেখেননি। আমি আপনার পক্ষেই কথা বলেছি এবং জোরালোভাবেই বলেছি। আপনি দায়িত্ব নিয়ে অনুসন্ধান করলে পেছনের কারিগর খুঁজে পাবেন।’

এ মন্তব্যের উত্তরে ইমু লেখেন, ‘ভাই, অনুসন্ধান করে দেখেছি কার হাত আছে। চোখের সামনে দেখেছি ছাত্রদল আমাকে কী বাজেভাবে ফ্রেমিং করছে। এটা প্রত্যাশিত নয়। আমাকে নিয়ে অনুসন্ধান করলে দেখতে পাবেন। আমি নির্বাচন না করলেও আমি কখনো অন্যায় দেখলে চুপ থাকি না। আমার ভয়েসকে যারা ভয় পায়, তাদের সাধুবাদ।’

‘আমাকে বাজেভাবে ফ্রেমিং করা হচ্ছে’— জবি শিক্ষার্থীর অভিযোগ

এর আগে ‘জবি ক্যান্টিনে খাবারে পোকা, প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করলেন ছাত্রীসংস্থার নেত্রী’ শিরোনামে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের ক্যান্টিনে খাবারে পোকা পাওয়া গেলে প্রতিবাদ করায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফাতিমাতুজ্জোহরা ইমুকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনার পর ৮ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদটির প্রতিবাদ জানান ইমু। তিনি বলেন, ‘আমি আসন্ন জকসু নির্বাচনে হল সংসদের প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে চাই। আমার বিরুদ্ধে সংবাদটি আমাকে মানসিকভাবে হেনস্তা ও জনসমক্ষে বিব্রত করার জন্য করা হয়েছে। অভিযোগের যেসব কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। যদি তারা প্রমাণ দিতে পারে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবো; আর যদি না পারে, আমি তাদের জুনিয়র হিসেবে ক্ষমা করে দেব।’

ইমুর দাবি, তার বিরুদ্ধে চালানো প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এটি তার নির্বাচনী প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অংশ।

এ বিষয়ে সামগ্রিক বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘যেটা ঘটেছে এটা খুবই ছোট বিষয়, এটাকে টেনে বড় করা হয়েছে। জকসু সামনে রেখেই এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি।’

টিএইচকিউ/এমআইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article