আমে ভরপুর বান্দরবানের বাজার

3 months ago 46

দেশি-বিদেশি জাতের আমে ভরপুর বান্দরবানের বিভিন্ন বাজার। জাতভেদে এসব আম ৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বাজারে বিক্রির জন্য স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে রেড পালমাল, রেড কুইন, মিয়াজাকি, ব্রুনাই কিং, রুপালী, রাঙ্গোয়াইসহ নানা জাতের আম। বিদেশি জাতের পাকা আমের সৌন্দর্য আকর্ষণ করলেও অম্রপালি-রাঙ্গোয়াইতেই সন্তুষ্টি ক্রেতাদের।

আমে ভরপুর বান্দরবানের বাজার

বাজারে দেশিজাতের অম্রপালি ও রাংগোয়াই বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়। বিদেশি জাতের আম কাটিমান ১৮০-২২০ টাকা, কিউজাই ২৫০-২৮০ টাকা, বুনাই কিং ১৮০-২২০ টাকা, ব্যানানা ম্যাংগো ২০০ টাকা, রেড পালমাল-রেডকুইন ৩০০-৩২০ টাকা, কাটিমন ১৮০ টাকা ও হিমসাগর ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফল বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানে রেড পালমাল, রেড কুইন, ব্যানেনা, কাটিমন, কিউজাই, হিমসাগর, লেংড়া ও রুপালি জাতের আম রয়েছে। বিদেশি আমের দাম বেশি হওয়ায় দৈনিক ৫-৭ কেজির বেশি বিক্রি হয় না। পক্ষান্তরে দেশিয় রুপালী, লেংড়া ও হিমসাগর আমের দাম তুলনামূলক কম ও সুস্বাদু হওয়ায় দৈনিক ৩০-৪০ কেজির বেশি আম বিক্রয় হয়।’

আমে ভরপুর বান্দরবানের বাজার

মো. ইলিয়াছ নামে আরেক ফল বিক্রেতা বলেন, ‘সকালে ২০ কেজি ব্যানেনা ও ৫০ কেজি রাঙ্গোয়াই জাতের আম নিয়েছিলেন বিক্রির জন্য। দুপুর পর্যন্ত চার কেজি ব্যানেনা ও ৩২ কেজি রাঙ্গোয়াই আম বিক্রি করেছি।’

আব্দুর রহিম নামে এক ক্রেতা জানান, ‘বিদেশি জাতের আম দেখতে লোভনীয় হলেও পরিবারের সদস্য অনুযায়ী এ জাতের আম কেনা ব্যয়বহুল। যার কারণে কম দাম ও মিষ্টতায় অতুলনীয় হওয়ায় দেশিয় জাতের রুপালী আম কিনেছি।’

আমে ভরপুর বান্দরবানের বাজার

এ বিষয়ে বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহ নেয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর জেলায় ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছিল। এবার ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এবার ৬৫ শতাংশ রাঙ্গোয়াই, ৩০ শতাংশ আম্রপালি, ৫ শতাংশ দেশি ও সৌখিন বিদেশি জাতের আমের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১১ থেকে ১২ মেট্রিক টন গড় ফলন পাওয়া যাচ্ছে।’

নয়ন চক্রবর্তী/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article