ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে দেওয়া কিছু প্রস্তাবের পর তারা ‘অবিলম্বে আলোচনা টেবিলে বসতে প্রস্তুত।’ গাজায় বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তা’র পরেই সংগঠনটি তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি জানিয়েছে, জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধের যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানায় হামাস আন্দোলন এবং অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে বসে সব বন্দির মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত তারা।
তবে এর বিনিময়ে তাদের দাবি- যুদ্ধ সমাপ্তির একটি স্পষ্ট ঘোষণা, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন, যারা অবিলম্বে গাজা উপত্যকা পরিচালনা শুরু করবে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) হামাসকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি এখনই মেনে নিতে হবে। ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসেরও মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। আমি এর আগে হামাসকে পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছি। এটাই আমার শেষ সতর্কবার্তা।
এর কিছুক্ষণ পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাওয়া ‘কিছু প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত।’
এদিকে ইসরায়েলের তীব্র আগ্রাসনে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারকে গাজা সিটি দখলের অভিযান থামাতে আহ্বান জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, শহরেই হয়তো জিম্মিদের আটক রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন। এর জবাবে চালানো ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
টিটিএন