আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে চুরি, বাদ যাচ্ছে না মসজিদও
শীতের শুরুতেই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে চুরির ঘটনা। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দোকান, বাসাবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাধিক চুরির খবর পাওয়া গেছে। বাদ যাচ্ছে না মসজিদও।
এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থানা প্রশাসন।
জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার মজলিশ ভোগশাইল জামে মসজিদের তালা ভেঙে মাইকের ব্যাটারি, দানবাক্সের টাকাসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। একই রাতে পৌদনাপুর গ্রামের প্রবাসী মখলিছ আলীর বাড়ি থেকে বাংলো ঘরের দরজার তালা ভেঙে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মালামাল, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা দক্ষিণপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল শাহর বাড়ির টিউবওয়েল, জামাল উদ্দিনের পানির মটর চুরি হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সদর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের ব্যবসায়ী হেলাল মিয়ার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে দুপুরে ঘরের তালা ভেঙে নগদ ৪ লাখ টাকা, ৫ ভরি সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রসহ তার পাশের তিনটি ঘরের টাকাপয়সা ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় চোররা। বৃহস্পতিবার রাতে রামপাশার জমক আলীর টমটম রিকশা পাখিচিরি গ্রাম থেকে চুরি হয়। পাশাপাশি গত এক সপ্তাহের মধ্যে মজলিশ ভোশাইল গ্রামের খসরু চৌধুরীর ৩টি গরু, খলিল মিয়ার কয়েক টন রড, শফিক উদ্দিনের ঘরের মালপত্র চুরি হয়।
এদিকে গত ৩০ নভেম্বর রামপাশা ইউনিয়নের দুহাল মাদ্রাসা সংলগ্ন জয়নাল মিয়ার দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। একই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের স্টোর রুম ও ১১ নভেম্বর উপজেলার দীঘলী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চুরি হয়। বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগও হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি রবেল মিয়া কালবেলাকে বলেন, শীত ও কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। এখন থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল টিমও। সবাইকে একটু সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।