আশুলিয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-মেয়েকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল সোনিয়া মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার মধ্য গাজিরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকার মৃত হাজি শাহজাহানের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন মিয়া (৫০) এবং তার ছেলে মো. ওমর ফারুক শাহিন শাহ্ (২১)। মামলায় পলাতক রয়েছেন- আশুলিয়ার মধ্য গাজিরচট সোনিয়া মার্কেট এলাকার মৃত রশিদ মোল্লার ছেলে মো. কাদের মোল্লা (৪৮)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোসা. লিপি আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে ভুক্তভোগী লিপি আক্তার ও শাহাদাত হোসেন মিয়ার সঙ্গে জায়গা-জমি, দোকান পাট এবং পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে আসামিরা মা-মেয়েকে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি, শাবল ও লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ও মাথার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। এ ছাড়া হত্যার উদ্দেশে তার গলা চেপে ধরে এবং গলায় থাকা ১ ভরি ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন ও কানে থাকা ৩ আনা ওজনের সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে মাকে বাঁচাতে তিন মেয়ে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে বিবস্ত্রসহ শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।