টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (বিসিসিআই) জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে গতকাল শনিবার এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেননি ডানহাতি তারকা ব্যাটার।
তবে কেন, কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি, সেটি এখন পর্যন্ত কেউ জানতে পারেনি। তবে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ইঙ্গিত এসেছে, ইংলিশ পেসারদের ভয়েই নাকি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি।
কোহলি এমন সময়ে অবসরের কথা বলেছেন, যার কয়েকদিন পরই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। যে কারণেই হয়তো এমন অদ্ভূত দাবি করেছে কাউন্টি ক্রিকেট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে দেখা যায়, ইংল্যান্ডে চলমান চারদিনের টেস্ট টুর্নামেন্টে একের পর এক প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের স্টাম্প উড়িয়ে দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের দুই পেসার গাস আটকিনসন ও জোস টং।
পোস্টে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘তোমাকে দোষ দিই না, বিরাট।’
We don't blame you Virat https://t.co/cwuevL7Lrs pic.twitter.com/kK86e3AGHE
— Rothesay County Championship (@CountyChamp) May 10, 2025তবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ মজার ছলে বলুক বা কোহলিকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অনুপ্রাণিত করুক, বাস্তবতা হলো- টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির অন্যতম সেরা মুহূর্ত অর্জনগুলো ইংল্যান্ডেই, ২০১৮ সালের সফরে।
ওই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫৯.৩০ গড়ে পাঁচ ম্যাচে ৫৮৩ রান করেছিলেন, সঙ্গে দুই সেঞ্চুরি। ওই বছরই ছিল কোহলির ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের বছর, ১৩২২ রান।
তবে কোহলি যদি অবসর নিয়েই ফেলেন, তাহলে ১৪ বছরের এক গৌরবময় ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্টে, যার ৬৮টি অধিনায়ক হিসেবে খেলে ৪৬.৮৫ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ২৩০ রান।
তবে সম্প্রতি টেস্ট ফরম্যাটে সময়টা খুব ভালো যাচ্ছিলো না কোহলির। ২০২৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটি ছিল ২০২৩ সালের জুলাইয়ের (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, পোর্ট অব স্পেনে) প্রথম টেস্ট শতক।
২০১৯ সালে কোহলির ব্যাটিং গড় ৫৫.১০ পর্যন্ত উঠেছিল। ওই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পুনেতে ক্যারিয়ারসেরা ২৫৪* রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু গত ২৪ মাসে সেই গড় নেমে এসেছে ৩২.৫৬ তে।
কোহলির খারাপ দিনেও বোর্ড, পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাচকরা মনে করছেন, এই সফরে তার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে ভারত নতুন অধিনায়কের অধীনে খেলার কারণে। তবে শেষ পর্যন্ত আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ড সফরে কোহলি থাকেন কি না, সেটিই দেখার।
এমএইচ/জেআইএম