ইফতারের আগে অসহনীয় যানজটে বিপাকে নগরবাসী

3 hours ago 4

অসহনীয় যানজটের কবলে রাজধানীবাসী। সারাদিন মোটামুটি স্বস্তি থাকলেও ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। এতে বিপাকে পড়েছেন অফিস ফেরত সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ ইফতারের আগে ঘরে ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিন ঘুরে ও গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, তেজগাঁও, সাতরাস্তা, বিজয় সরণি সিগন্যাল, রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, নতুন বাজার, কাজী নজরুল ইসলাম সরণি, খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও, শ্যামলীসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ধীর গতিতে চলতে যানবাহন। এছাড়া বাস পয়েন্টগুলোতে গন্তব্যগামী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

ইফতারের আগে অসহনীয় যানজটে বিপাকে নগরবাসী

রাজধানীর পল্টন থেকে কলেজগেটগামী ওয়েলকাম পরিবহনের যাত্রী মাহবুব বলেন, পল্টন থেকে গাড়িতে উঠেছি। আধাঘণ্টা ধরে কেবল হাইকোর্ট পর্যন্ত এসেছি। কতসময় লাগবে কে জানে। ইফতারের আগে পৌঁছাতে পারলেই ভালো। না হলে রাস্তায় ইফতার করতে হবে।

সাভারগামী যাত্রী রোমান বলেন, আমিনবাজার পার হতে পারলে আর বেশি সময় লাগবে না। আমিনবাজারের পর আর কোনো জ্যাম নেই। কিন্তু আমিনবাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে কত সময় লাগবে সেটা বলা কঠিন।

সোহানুর বলেন, প্রতিবছরই রোজার সময় যানজট সহ্য করতে হয়। সারা বছরতো থাকেই। অন্যান্য সময় যানজটে যতটানা সমস্যা মনে হয় তার থেকে অনেক বেশি সমস্যা মনে হয় রোজায়। সারাদিন না খেয়ে অফিস করে তারপর যানজটে থাকাটা কষ্টদায়ক। সরকারের উচিত যানজট নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।

ইফতারের আগে অসহনীয় যানজটে বিপাকে নগরবাসী

যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয় জানতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এর আগে গত রোববার প্রথম রোজার দিনে তিনি বলেন, অফিস শেষ করে মানুষ ইফতারের আগে বাসায় পৌঁছাতে চায়। যার ফলে বিকেল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, আমরা যানজট নিরসনে চেষ্টা করছি। আমাদের এসপি, ডিসি, এডিসি, যুগ্ম কমিশনার সবাই রাস্তায় আছে। আমি নিজেও রাস্তায় আছি। সাধারণ সময়ের তুলনায় সড়কে ট্রাফিক মোতায়েনও বেশি করা হয়েছে। আশা করি, ইফতারের আগেই মানুষ বাসায় ফিরতে পারবেন।

কেআর/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article