আজ (১৪ মার্চ) ১৩ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৪তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ১৭ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা আম্বিয়া ও সুরা হজ।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:
১. যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন মানুষের কাছে এই বার্তা দিয়ে যে, মানুষ যেন এক আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য করে এবং তার সাথে যেন কাউকে শরিক না করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার আগে এমন কোনো রাসুল আমি পাঠাইনি যার প্রতি আমি এই ওহি নাজিল করিনি যে, আমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; সুতরাং তোমরা আমার ইবাদত কর। (সুরা আম্বিয়া: ২৫)
২. হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। হজের মৌসুমে যাদের কাবায় গিয়ে হজ করার সামর্থ্য আছে, তাদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। হজের ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষের নিকট হজের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে। যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাজির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিজিক দিয়েছেন তার ওপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। (সুরা হজ: ২৯)
৩. ইসলামে দুটি বড় গুনাহ হলো মূর্তিপূজা ও মিথ্যা কথা বলা। এ দুটি গুনাহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাক এবং মিথ্যা কথা পরিহার কর। (সুরা হজ: ৩০)
৪. নামাজে প্রতি রাকাতে রুকু ও সিজদা করা ফরজ। অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত ফরজ নামাজে অন্তত ১৭ বার রুকু ও সিজদা করা আমাদের ওপর ফরজ। রুকু, সিজদা, আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও নেক কাজ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা রুকু কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে। (সুরা হজ: ৭৭)
৫. নামাজ আদায় করা, জাকাত দেওয়া ও আল্লাহর পথে দৃঢ় থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং আল্লাহকে মজবুতভাবে ধর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক এবং কতই না উত্তম সাহায্যকারী! (সুরা হজ: ৭৮)
ওএফএফ/এএসএম